সুনামগঞ্জেপ্ রকৃতিপ্রেমীদের নতুন ঠিকানা লালঘাট ঝরনা
উপজাতী পল্লীঘেঁষা মেঘালয় পাহাড় থেকে প্রবাহিত সুনামগঞ্জ সীমান্তের ‘লালঘাট ঝরনা ধারা’ প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু ও পর্যটকদের এক নতুন ঠিকানা। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নিকট কয়েক যুগ ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ১৭টি দৃষ্টিনন্দন দর্শনীয় স্থান পরিচিতি পেলেও তাদের দৃষ্টির অগোচরেই ছিল লালঘাট উপজাতী পল্লীর ‘লালঘাট ঝরনা ধারা’।
জানা যায়, জেলার হাওরঘেঁষা প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড়ে হযরত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানা, সীমান্ত নদী জাদুকাঁটা, বারেকটিলা, হাজি জয়নাল আবেদীন গার্ডেন, শ্রী অদ্বৈত আচার্য্য প্রভুর রাজারগাঁওয়ের আখড়া বাড়ি পণথীর্থ ধাম, গড়কাটি ইসকন মন্দির, কড়ইগড়া, রাজাই উপজাতী পল্লী, ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, প্রকল্পঘেঁষা শহীদ সিরাজ বীরউত্তম লেক, লাকমাছড়া, বড়ছড়ার ভাঙ্গারঘাট চুনাপাথর কোয়ারী, বড়ছড়া, চারাগাঁও, এছাড়া বেশ আকর্ষণীয়, বাগলীস্থল শুল্ক স্টেশন ও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রামসার প্রকল্পভুক্ত গাছ, মাছ, অতিথি পাখির অভয়াশ্রম দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবনখ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর দর্শনীয় স্থানগুলো দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের নিকট কয়েক যুগ ধরে পরিচিতি তবে এতকিছুর পরেও অঘোচরেই রয়ে গিয়েছিল লালঘাট উপজাতী পল্লীঘেঁষা মেঘালয় পাহাড় থেকে প্রবাহিত হয়ে নেমে আসা ‘লালঘাট ঝরনা ধারা’।
জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার (নৌ-পথ) এবং ২২ কিলোমিটার (সড়কপথ) উপজেলার সোজা উত্তরমুখী শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কের লাগোয়া উপজাতী পল্লী লালঘাটের অবস্থান।’
লালঘাট ঝরনা ধারার পূর্বঘেঁষা উপজাতী পল্লীর হাজং সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ছোট ছোট পরিবারের বসবাস। এ গ্রামটিকে বলা হয় সবুজের গ্রাম। বসতির চারপাশে রয়েছে পাহাড়ি বনজ, ফলদ ও ফুলের গাছ-গাছালি। উপজাতী পল্লী হলেও লালঘাটে রয়েছে দেড় শতাধিকের ওপর স্থানীয় বাঙালি পরিবারের বসবাস।
দেশ-বিদেশের যে সব পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুরা প্রকৃতি দর্শনে জাদুকাঁটা, বারেকটিলা ও টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, শহীদ সিরাজ বীরউত্তম লেক ও লাকমাছড়া বেড়াতে আসেন তারা টেকেরঘাট থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার পথ পশ্চিমে এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন লালঘাট উপজাতী পল্লীর ‘লালঘাট ঝরনা ধারা’।