সুনামগঞ্জের মালিকদের অটোরিক্সা সিলেটে প্রবেশে বাঁধা!
ছাতক :: সিলেট শহরে প্রবেশ করতে পারছে না সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মালিকদের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। গত ৬দিন ধরে সিলেট শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না এই অঞ্চলের কোন অটোরিক্সাকেই। সুনামগঞ্জ জেলার মালিকদের অটোরিক্সা সিলেট জেলা শহরে প্রবেশ করতে পারবে না, এমন শর্তের কারনেই ছাতক-সিলেট ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অটোরিক্সা চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলার ছাতক, গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়াবাজারসহ বেশ কয়েকটি ষ্ট্যান্ডের অটোরিক্সা সিলেটে প্রবেশে বাঁধার কারনে এ অঞ্চলের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে চাঁপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই জটিলতা বৃদ্ধির কারনে প্রতিদিন যাতায়াতকারী শত শত সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরিবহণ শ্রমিক সংগঠন সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দুটি জেলায় নিয়ম ভঙ্গ করে অটোরিক্সা চলাচলের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকসহ আশপাশ এলাকার ষ্ট্যান্ড গুলোর অটোরিক্সা সিলেট শহরে প্রবেশ না করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহণ শ্রমিকদের জানানো হয়। হাইওয়ে পুলিশ এবিষয়ে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের সাথে বৈঠক করে জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করেও কোন সুফল হয়নি। ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জ ও ছাতক অঞ্চলের সিলেটের রেজিষ্টেশনকৃত অটোরিক্সাও গুলো সিলেট শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না স্থানীয় পরিবহণ শ্রমিকরা। স্থানীয় অটোরিক্সা গুলো সিলেট শহরে প্রবেশ করতে না পারায় নিম্ম আয়ের সাধারণ যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। ছাতক অটোরিক্সা ড্রাইভার্স শ্রমিক ইউনিয়ন উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলু মিয়া জানা, আমাদের সিলেটের রেজিষ্টাশনকৃত ছাতক ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকার অন্তত শতাধিক বৈধ অটৈারিক্সা রয়েছে। কিন্তু সিলেট অঞ্চলের পরিবহন শ্রমিকরা বেআইনী ভাবে অটোরিক্সা সিলেটে প্রবেশে বাঁধা প্রদন করছে। সুনামগঞ্জ জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আফতাব উদ্দিন জানান, সড়কে অটোরিক্সা চলাচলের বিষয়ে সীদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের। সিলেটের পরিবহণ কতিপয় শ্রমিকরা সুনামগঞ্জ জেলার অটোরিক্সা সিলেট শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আগামী শুক্রবারের মধ্যে যদি এর কোনো সুরাহা না হয় তাহলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অচল করে দেওয়া হবে।
সিলেট জেলা অটোরিক্সা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ জানান, সিলেটের রেজিষ্টশনকৃত অটোরিক্সা গুলো এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশ বেআইনী। পরিবহণ শ্রমিকরা এই অসন্তোষের কারনেই সিলেট শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। পরিবহণ শ্রমিকদের কিছু লোকজন পক্ষ ভুল তথ্য দিয়ে এই জটিলতার জন্য আমাকে দায়ী করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আবু জাহিদ মোঃ আব্দুল গফফার জানান, গত ছয়দিন ধরে এলাকার মানুষ সরাসরি সিলেটে যাতায়াত করতে পারতেছে না। রোগী ও মহিলা যাত্রীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সুনামগঞ্জবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এ অচলাবস্থার সমাধান করবে। জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আমির উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সড়কে এ বিশৃংখলার সমাধানে কয়েকটি অটোরিক্সা পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেও কোন সমাধান হয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানা হয়েছে।