সুনামগঞ্জে ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
জানা যায়,গত অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা ১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলা পিআইও অফিসের মাধ্যমে জাহানারা খাতুনকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মনোনিত করে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কাজ না করেই তার নেতৃত্বাধীন কমিটি সরকারী বরাদ্দ আত্মসাৎ করে। অনুরুপভাবে সুনামগঞ্জ পাউবোর অধীনস্থ বনগাঁও পটাং খালের বামতীরে বাঁধ নির্মাণ হাওর প্রকল্প-১ এর নাম ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পিআইসি সভাপতি জাহানারা খাতুন সরকারের বরাদ্দকৃত প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাউবো কর্মকর্তা ও পিআইসির লোকজন মিলে পরস্পরের যোগসাজসে কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী গোলাম মোস্তফা বুলবুল,হামদু মিয়া,রফিক মিয়া,আবুল কাশেম,কান্দু মিয়া,আমির হোসেন,মোস্তফা মিয়া,রুস্তম আলী,আব্দুর রহিম,সুরুজ আলী,অজু উদ্দিন,আব্দুস ছাত্তার ও ওমর আলীগং রোববার সাংবাদিকদের জানান, জাহানারা খাতুনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে প্রথমে জেলা প্রশাসক,পরে দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের আক্রোশে ইউপি সদস্যা জাহানারা খাতুন অভিযোগকারীদেরকে মিথ্যে চাঁদাবাজীর মামলায় হয়রানীর হুমকী দিচ্ছেন বলেও তারা জানান।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কানলার হাওরের ডুবন্ত বাধের ভাঙ্গা ও মেরামত কাজে ১০১ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন রঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ সরকত আলী, ১০২ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আমীর আলী, ১০৩ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ সুরুজ মিয়া, ২৪৫ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যা জাহানারা বেগম,চলতি নদীর বাধের ০.৫৯ কিলোমিটার ভাঙ্গা ও মেরামত কাজে বামতীর ডুবন্ত বাধের ভাঙ্গা ও মেরামত কাজে ১০৫ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকশেদ আলী। অভিযোগ রয়েছে এরা আদৌ কোন বাঁধে ছটাক পরিমান মাটি ফেলেননি।