সুনামগঞ্জে নারী ও তরুণীদের উত্ত্যক্তের ঘটনায় ৭ বখাটে গ্রেফতার
সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর এলাকা থেকে নারী ও তরুণীদের উত্ত্যক্তের ঘটনায় ৭ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৮টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল- দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ধনপুর গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের পুত্র রায়হান উদ্দিন, একই গ্রামের আমির উদ্দিনের পুত্র ফয়েজ উদ্দিন, নুরুল হকের পুত্র শাহিনুর, সোনা মিয়ার পুত্র সুমন আহমদ, জামাল সরদারের পুত্র গোলাম কিবরিয়া, শফিক মিয়ার পুত্র আজহার উদ্দিন ও সদর উপজেলার সরদারপুর গ্রামের আনোয়ার হোসনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন। পুলিশ ও ভিকটিমদের স্বজনরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের উলুতুলু গ্রামের বাসিন্দা (২৪) তার স্ত্রী, বোনসহ কয়েকজন সুনামগঞ্জ শহরের বাণিজ্য মেলা থেকে কেনাকাটা শেষে ব্যাটারিচালিত অটোরিকসাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। সদর উপজেলার কাঠইর এলাকা থেকে দেলোয়ারের নেতৃত্বে ৭ বখাটে আরেকটি অটোরিকসায় তাদের পিছু নিয়ে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। কিছু দূর যাওয়ার পর একবার অটোরিকসা থামিয়ে নারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভাষায় উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করেন অটোরিকসায় থাকা ঐ অভিভাবক। পরে বাড়ির পথে তারা রওয়ানা দিলে আবারও তাদের পিছু নেয় বখাটেরা। কিছু দূর যাবার পর বখাটেরা অটোরিকসা থামিয়ে এক নারীর শরীরে হাত দেয় ও এক স্কুল পড়ুয়া তরুণীদের ওড়না ধরে টানাটানি শুরু করে। এসময় অভিভাবক প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করে বখাটেরা। বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে আহত হন অটোরিকসায় থাকা অভিভাবকের বোনও। আশেপাশের লোকজন বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে তাৎক্ষণিক ৭ বখাটেকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে সদর থানার এসআই আলমগীর তাদের আটক করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন। থানায় নিয়ে আসার পর সেখানে আসেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ মো. হাবিব উল্লাহ জুয়েল। তিনি নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং বখাটেদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানান। নারী ও তরুণীদের অভিভাবক (২৪) বলেন, বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকসা নিয়ে বখাটেরা আমার স্ত্রী, বোনদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে বলে, ‘বেশি কথা বললে তোর মাথা কেটে নিয়ে যাব, তোর সঙ্গে থাকা মহিলাদের … (লেখার অযোগ্য)।’ প্রথমে ভয়ে কিছু বলেনি, পরে স্থানীয় মানুষজন তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, বখাটেপনার খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিব উল্লাহ জুয়েল বলেন, যেখানেই নারী ও শিশু নির্যাতন হচ্ছে, ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। বখাটেপনার বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে।