সুনামগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়- অনুপস্থিত ৪২০৭
সারা দেশের ন্যায় গতকাল রোববার সুনামগঞ্জে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনের পরীক্ষায় জেলায় দুই শাখায় মোট ৪ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। জানা যায়, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মোট পরীক্ষার্থী ৫৫ হাজার ৭৬৫ জন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫২ হাজার ১৩৭ জন, অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৬২৪ জন (এর মধ্যে ইংরেজি ভার্সনে ৩২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল)। ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৮২ জন, প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ হাজার ৫০৩ জন, অনুপস্থিত ছিল ৫৭৯ জন। জেলার মোট ১৭১ কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে উপস্থিতির হার ৯৪.০৯ ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে উপস্থিতির হার ৮৫.৯১। অনুপস্থিত থাকার হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে গড়ে ৬ ভাগ ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৪ ভাগ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পরীক্ষার্থী ছিল ৫৫ হাজার ৮৭০ জন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৫২ হাজার ৫৬২ জন, অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৩০৮ জন। ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ১৫৪ জন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৩ হাজার ৫৬৮ জন, অনুপস্থিত ছিল ৫৮১ জন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হাসান জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাওরের বোরো ফসলহানি, দরিদ্রতা ও অসচেতনতাসহ নানা কারণে কিছু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। বিষয়টির খোঁজ খবর নেয়া হবে।
জগন্নাথপুরে সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩৮৬ জন
গতকাল থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার। রবিবার প্রথম দিনে ইংরেজি পরীক্ষায় জগন্নাথপুর উপজেলায় অনুপস্থিত ছিল ২৩৫ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও মাদ্রাসা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৮৬ জন শিক্ষার্থী। স্থানীয় শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়- এবারের সমাপনী পরীক্ষায় ১৮টি কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার দুই ১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৩৫ জন। এছাড়া ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৮শ’ ৬১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৮৬ জন। জগন্নাথপুরের হাওরপাড়ের কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান জানান- ফসল হারিয়ে হাওরপাড়ের লোকজন খুবই কষ্টে দিন কাটছে। নলুয়া হাওরেবেষ্টিত চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দুইটি কেন্দ্রে সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত ছিল ২৯ জন। ফসলডুবি প্রভাব কিছুটা পরীক্ষায় পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান- হাওরাঞ্চলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েনি। এবারের সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল শতকরা ৯৬ ভাগ।