সুনামগঞ্জ  :: ৩ একর পরিমান জলমহাল ইজারা নিয়ে শত শত একর শাসন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের ধাইরা হাওরের ছোট্ট বিলের ইজারাদার নারাইনপুর মৎসজীবী সমিতির বিরুদ্ধে।  স্থানীয় মৎস্যজীবীদের অভিযোগ করেছে অনেক দূরবর্তী স্থানে মৎস্য আহরণ করতে গেলে ইজারাদারদের লোকেরা বাধা প্রদান করেন। ইজারাদারদের বাধা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হয় জেলেদের। প্রায় সময় হারাতে হয় তাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম। বিলের পাহারাদাররা জেলেদের উপর হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। জানা যায়, তিন বছর বিল ভোগ করার পর নতুন করে (২৬-২৮ বাংলা) ৩ বছরের জন্য ছোট্ট বিলটি ইজারা নিয়েছে নারাইনপুর মৎস্যজীবী সমিতি। সমিতিতে ২২ জন সদস্য থাকলেও অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। সমিতির বেশির ভাগই অমৎস্যজীবী। বিগত সময় থেকে এ পর্যন্ত নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই জলমহাল শাসন করছেন বিল ইজারাদাররা প্রতি বছর বিলটি সেচে শুকিয়ে মাছ আহরণ করে থাকেন। তাছাড়া বর্ষা মৌশুমে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা হাওরে মাছ ধরতে গেলে বাঁধা দিয়ে থাকেন ইজারাদারা।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে স্থানীয় মৎস্যজীবী জান্নাত আহমদ হাওরে মাছ ধরতে ছাই বেঁঁধে দিলে ছোট্ট বিলের পাহারাদার আব্দুল আলী ইজারাদারদের নির্দেশনায় জান্নাতের উপর চড়াও হয়ে তাঁর ৩০টি ছাই ভেঙ্গে ফেলে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন জান্নাত। জান্নাতের মতো স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বিলের আশেপাশে হাওরে মাছ ধরতে গেলে জলমহাল কর্তৃপক্ষের মারমুখী আচরণের সম্মুখীন হতে হয়।  স্থানীয় মৎস্যজীবী জান্নাত আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ৩ একর বিল ইজারা আনলেও শত শত একর শাসন করে সমিতির লোকেরা। তাদের কারনে আমরা হাওরে মাছ ধরতে যেথে পারি না। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আমি হাওরে ছাই পাতালে বিলের পাহারাদার আব্দুল আলী আমার ছাইগুলো ভেঙ্গে দেয়। আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।  তবে এসব সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন নারাইনপুর মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী নূর।  তিনি বলেন, আমরা আমাদের বিলের এরিয়াতে শাসন করে থাকি। জেলেরা হাওরে মাছ ধরতে আমাদের লোকেরা বাধা দেয় না। আর আব্দুল আলী কর্র্র্তৃক জান্নাতে ছাই ভাঙ্গার বিষয়টি ব্যক্তিগত শত্রুতায় হতে পারে বলে জানান তিনি।  এই ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমীন নাহার মোবাইল ফোন করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn