সুনামগঞ্জে সালেহ চৌধুরীর স্মরণ সভা
সুনামগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরীর স্মরণে নাগরিক শোক সভায় বক্তারা বলেন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী ছিলেন এই অঞ্চলের আলোকিত পুরুষ। দেশের সাংবাদিকতা জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। দেশের সংবাদপত্র এবং সংবাদ সংস্থায় তাঁর মেধার স্বাক্ষর স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। তিনি শুধু দেশের সমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব প্রকাশ করেন নি, পাশাপাশি একজন দক্ষ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকও ছিলেন। সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন এবং সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য জাতি তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এই শোক সভা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ও মৌলভী বাজার সংরক্ষিত আসনের এমপি সামছুন নাহার শাহানা রব্বানী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।উপস্থিত সবাই মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনের কিছু দিক তুলে ধরে বলেন, সালেহ চৌধুরী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন। খুবই প্রানবন্ত এবং উচ্ছ্বল ছিলেন। সৎ সাংবাদিক হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। সালেহ চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রথিতযশা সাংবাদিককে হারালো। তার অভাব সহজে পূরন হবার নয়।
সালেহ চৌধুরী ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, বিলুপ্ত দৈনিক বাংলার সহযোগী সম্পাদক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সালেহ চৌধুরী দৈনিক বাংলায় যোগ দিয়ে দুই দশক আগে এটি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সংবাদপত্রটিতে ছিলেন তিনি। কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ও দাবা ফেডারেশেনের সাবেক কর্মকর্তা ও ছিলেন সালেহ চৌধুরী। তিনি ১৯৭১ সালে টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের অধীনে দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুরসহ ভাটি অঞ্চলে বেশ কিছু যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া তিনি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলন, ১৯৯২ সালের ‘গণ আদালতের অন্যতম সাক্ষী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার সাক্ষী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’র নামটিও তিনি দিয়েছিলেন।