এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

গবেষণা, উদ্ভাবন এবং আবিস্কারে অসাধারণ অবদানের জন্যে সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে ‘গ্লোবাল টেকনোলজি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ (এষড়নধষ ঞবপযহড়ষড়মু ঊীপবষষবহপব অধিৎফ)পেলেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ড. জিনাত নবী। নিউজার্সিতে অবস্থানরত বিশ্বখ্যাত টয়লেট্রিজ সামগ্রির উৎপাদক কলগেট পালমোলিভ কোম্পানী (ঈড়ষমধঃব চধষসড়ষরাব ঈড়সঢ়ধহু ) ’র পক্ষ থেকে গবেষণা কর্মে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক এ এওয়ার্ড বাংলাদেশী-আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. জিনাত নবীকে গত সপ্তাহে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়। কোম্পানীর চীফ টেকনোলজি অফিসার ড. প্যাট ভারডিয়াম (উৎ. চধঃ ঠবৎফঁরহ, ঃযব ঈযরবভ ঞবপযহড়ষড়মু ঙভভরপবৎ ড়ভ ঃযব পড়সঢ়ধহু)সহ  এই কোম্পানীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে। জানা গেছে, এই কোম্পানীর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট এবং গবেষণা প্রকল্পের লিডার হিসেবে বছরের পর বছর যাবত স্কীন কেয়ার সামগ্রির পর্যায়ক্রমিক উন্নয়ন সাধন করেছেন। টাঙ্গাইলের সন্তান ড. জিনাত নবীর এই উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াকে ‘স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা। এর আগে ড. জিনাত নবী টানা দু’বার বছরের সেরা ‘ইউ মেক এ্যা ডিফারেন্স’ (ণড়ঁ গধশব ধ উরভভবৎবহপব)এওয়ার্ড লাভেও সক্ষম হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ো কেমিস্ট্রিতে বিএস এবং এমএস করার পর ড. জিনাত নবী একই বিষয়ে পিএইচডি করেছেন জাপানের কিউসু ইউনিভার্সিটি (কুঁংযঁ টহরাবৎংরঃু, ঔধঢ়ধহ )থেকে।  নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে তিনি  পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ করেন। এরপর নিউজার্সির প্রিন্সটন এবং রাটগার্স ইউনিভার্সিটিতে গবেষক-সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায়ই কলগেট পালমোলিভ কোম্পানীতে চাকরির অফার পান। দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত এই কোম্পানীতে চাকরি করছেন ড. জিনাত নবী। তার রয়েছে ৩০টি প্যাটেন্ট এবং বেশ কিছু গবেষণামূলক প্রকাশনা। কলগেট কোম্পানীর বাইরেও রয়েছে তার সুনাম।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, ড. জিনাত নবীর স্বামী ড. নূরন্নবীও একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একই কোম্পানীতে চাকরি করেছেন। ‘কলগেট টোটাল টুথপেস্ট টেকনোলজি’ আবিস্কারের জন্যে ১৯৮৯ সালে ড. নবীকেও ‘গ্লোবাল টেকনোলজি এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন-যাপন করলেও নিউজার্সির প্লেইন্সবরো সিটির কাউন্সিলম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গত ৬ বছর যাবত।
এই মুক্তিযোদ্ধা-দম্পতি প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রায় সকল কর্মকান্ডেই সম্পৃক্ত থাকেন। ব্যক্তিগতভাবে ড. নূরন্নবী যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। পেশাগত সাফল্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করায় এই মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নূরন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি রেজাউল বারি, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn