সৌদিতে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুদ্ধের উসকানি
বার্তা ডেস্ক:: মধ্যপ্রাচ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদির আরবের সঙ্গে বিতর্কিত সামরিক সম্পর্ক জোরদার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে ক্রমাগত বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই সৌদিতে নতুন করে কয়েকশ সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পূর্বাঞ্চলের মরুভূমিতে অবস্থিত প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটিতে ৫০০ সেনা যাবে বলে দুই মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন, রানওয়ে ও বিমান ওঠানামার স্থানের উন্নয়নে সেখানে ছোট্ট একটি মার্কিন সেনাদল ও তাদের সহযোগিরা আগে থেকেই অবস্থান করে আছে। ওই ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প সময়ের জন্য সেনা রাখতে চাচ্ছে। কারণ দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কঠিন সময়ে ইরান ওই বিচ্ছিন্ন এলাকাকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা বানাতে পারে। তবে এমন এক সময় এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ক চরম স্পর্শকাতর অবস্থায় পৌঁছে গেছে। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড প্রশাসন কীভাবে সামলাচ্ছে, তা নিয়ে কংগ্রেসে দ্বিদলীয় ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ইরানি আগ্রাসন থেকে সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত মাসে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত এক হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তারা কোন দেশে যাবে, সুনির্দিষ্ট করে তখন তা উল্লেখ করেনি। সেনা সদস্যরা সৌদি আরবেও যাচ্ছে। গত জুনে উচ্চ-মাত্রার উপগ্রহ দিয়ে ওই বিমান ঘাঁটির ছবি নিয়েছে ইস্টএশিয়া ননপ্রলিফারেশন প্রজেক্ট। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জেফরি লুইস বলেন, গত ২৭ জুন রানওয়ের শেষপ্রান্তে একটি ছোট ক্যাম্প ও অবকাঠামোর প্রস্তুতি দেখা গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, উন্নয়ন কাজ চলছে। তিনি বলেন, রানওয়ের পূর্বে এই ক্যাম্প বিদেশে মোতায়েন করা বিমান বাহিনী প্রকৌশল ইউনিটের মতো দেখতে। সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে রিয়াদ সবসময়ই স্পর্শকাতর। কাজেই এ নিয়ে সৌদি কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।২০১৬ সালে রিয়াদে শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকর ও তেহরানে সৌদি দূতাবাসে সাধারণ মানুষের হামলার পর দুই দেশের মধ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে যায়।