সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রী
শনিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে সৌদি আরবের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন ফয়সল আবু সাক এবং রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ তাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীকে রিয়াদের মোভেনপিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। খবর বাসস’। এর আগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট রাত ৮টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান। সফরকালে শেখ হাসিনা মক্কায় হারাম শরিফে পবিত্র ওমরা পালন করবেন এবং মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। আরব ইসলামিক আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলন রোববার সৌদি রাজধানীতে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও সম্মেলনে যোগ দেবেন।
তিনি গ্লোবাল সেন্টার ফর কমব্যাটিং এক্সট্রিমিস্ট থট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা ২২ মে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে ভোজসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের উদ্দেশে বিমানে মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ছাড়বেন। ২২ মে বিকালে তিনি জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন। বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হারাম শারফে পবিত্র ওমরা পালনের জন্য মক্কায় যাবেন।
শেখ হাসিনা ২৪ মে দেশে ফিরবেন। ‘জয় আমাদেরই হবে’ এই স্লোগান নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও জঙ্গিদের অর্থায়ন খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ৫৬ আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা সম্মেলনে অনেক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সম্মেলনের মূল বিষয় বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উদ্যোগ জোরদার করা।