স্কুল অব একসেলেন্স আধুনিক শিক্ষা দিচ্ছে: এম এ মান্নান
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়াস্থ দাসপাড়া (চকগ্রাম)-এ মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত ‘মুসলিম হ্যান্ডস স্কুল অব একসেলেন্স’ এর নিজস্ব ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। আজ রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। তারা ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করেন। আমরা সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কেউ কেউ মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের পক্ষে কাজ করে না। কিন্তু বিগত দিনের কার্যক্রমের মাধ্যমে এ সন্দেহ-সংশয় দূর হয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের জন্য কলঙ্ক। ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। যারা জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত তারা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী নয়। একথাটা আমাদের সমাজে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, মুসলিম হ্যান্ডস ইউ.কের কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা সচেতন। তারা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভালো কাজে সহযোগিতা করে, এমন ন্যায়বিচারমূলক সমাজের জন্য কাজ করে যেখানে অসহায় নিপীড়িত মানুষ সহায়তা পাবে। তিনি স্কুল অব একসেলেন্স সম্পর্কে বলেন, এ প্রতিষ্ঠান ইসলামী আদর্শের ছায়ায় আধুনিক শিক্ষা দিচ্ছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ছেলেরা স্বকীয় তাহযীব তামাদ্দুন রক্ষা করে বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।
মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনালের এডভাইজরি বোর্ড মেম্বার প্রখ্যাত আলিমে দ্বীন মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মুসলিম হ্যান্ডস ইউ.কে এর চেয়ারম্যান হযরত সায়্যিদ লখতে হাসানাইন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, মুসলিম হ্যান্ডস ইউ.কে-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তারিক মোহাম্মদ নাসির, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ সিলেট-এর অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, এম.এইচ স্কুল অব একসেলেন্স-এর সাবেক প্রিন্সিপাল কর্নেল মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন (অবসরপ্রাপ্ত), বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল ইউ.কে-এর কাউন্সিলর জিয়াউল ইসলাম এম.বি.ই, মহাসচিব বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, লুৎফুর রহমান হাই স্কুল এন্ড কলেজ-এর অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ চঞ্চল ও দারুল হাদীস লতিফিয়া নর্থওয়েস্ট-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা সালমান আহমদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান এবং এমএইচ স্কুল অব একসেলেন্সের শিক্ষক সুফিয়ান আহমদ চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা গুফরান আহমদ আহমদ চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আহমদ হাসান চৌধুরী, মুসলিম হ্যান্ডস ইউ.কে-এর ট্রাস্টি ছাহেবজাদা গোলাম জিলানী, দৈনিক উত্তরপূর্ব-এর সম্পাদক ও প্রকাশক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মুফতি মোহাম্মদ ইসমাঈল আলী আকবর, ফান্ড রাইজিং ম্যানেজার ইসলাম উদ্দিন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, জালালিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, সোবহানীঘাট কামিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে’র প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মাওলানা খায়রুল হুদা খান, মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আশরাফুজ্জামান, তালামীযে ইসলামিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. মুহিবুর রহমান, খাদিমপাড়া ইউ.পির সাবেক চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম ডালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান সৈয়দ লখতে হাসানাইন বাংলাদেশে মুসলিম হ্যান্ডসের কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) তার বড় ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলীকে এ কাজের দায়িত্বভার অর্পণ করেছিলেন। অসহায় দুঃস্থ নিরন্ন মানুষের খেদমতে নিবেদিত প্রাণ হাজারো এতীমের আশ্রয়স্থল হযরত বড় ছাহেব কিবলাহ তাকে মনোনয়নের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ মানবসেবায় নিবেদিত ছিলেন। ২০০৮ সালে হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলাহর ঐতিহাসিক জানাযায় লাখো লাখো মানুষের উপস্থিতি মানবসেবায় তার অবদানকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিশু কিশোরকে শিক্ষা দিচ্ছে। এসকল শিশু কিশোরকে আমরা নিজেদের সন্তানের মতো লালন-পালন করি। প্রিয়নবী (সা.) মানুষকে ভালোবাসার যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, আউলিয়ায়ে কিরাম খেদমতে খালকের যে চর্চা করে গেছেন সে ধারার উত্তরসূরী হিসেবেই আমরা মানবসেবাব্রতে আত্মনিয়োগ করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আনজুমানে আল ইসলাহ সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইংরেজি লেকচারার নোমান আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনুর রহমান লেখন। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- সিএম মুত্তালিব, শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- মোস্তাক আহমদ, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন- হাজী আব্দুল মালিক, হাজী আইয়ুব আলী আনা মিয়া, বাবুল আহমদ, ডা. মতিউর রহমান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ফাহমিদা সুলতানা সুভা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সোনাতলা আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আ.ফ.ম আব্দুল কাইয়ূম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হুসেন জাহেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাওছার আহমদ, অর্থ সম্পাদক অলিউর রহমান সানি, সাবেক সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা কুহিনুর উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সিলেট মহানগর সহ সভাপতি হাফিয নোমান আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছবুর, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম মুশাহিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবী হাজী আবুল লেইছ চৌধুরী, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার, সিলেট মহানগর তালামীযের সভাপতি এনাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আহমদ শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমদ, অর্থ সম্পাদক শেখ মনোয়ার হুসেন, অফিস সম্পাদক মারুফ আহমদ, আল ইসলাহ নেতা মাওলানা ফয়জুল হক, মাওলানা ছাদ উদ্দিন প্রমুখ।