বার্তা ডেস্ক :: নিয়মিত ওয়াজ মাহফিলে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বললেও নিজের বেলায় ভিন্ন মাওলানা এএইচএম সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকী। যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন। তবে এবার যে কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন তা আরও ভয়াবহ। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর দুই হাত ভেঙে দেয়ার পর ঘরে আটকে রেখে ওয়াজ করতে গেছেন তিনি।  রোববার (০১ মার্চ) রংপুরের পীরগঞ্জে একটি ইসলামি জলসায় ওয়াজ করতে গেলে তাকে আটকে উত্তম-মধ্যম দেয় জনতা। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। রাতেই মাওলানা এএইচএম সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকীকে আসামি করে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানায় মামলা করেছেন তার শাশুড়ি কোহিনুর বেগম। স্থানীয় সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মধ্যচর বারুইটারী গ্রামের আবদুল হাই মিয়ার ছেলে হাফেজ মাওলানা সোয়াইব হোসাইন সিদ্দিকীর সঙ্গে দেড় বছর আগে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দূরা মিঠিপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরকারের মেয়ে সোমিয়া ছিদ্দিকার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে মাওলানা সিদ্দিকী তার স্ত্রীর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে প্রায়ই মারপিট করতেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীর দুই হাত ভেঙে দেন তিনি। এরপর তাকে ঘরে আটকে রেখে ইসলামি জলসায় ওয়াজ করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে সোমিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওয়াজ করতে যাওয়ার পর স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাওলানা সিদ্দিকী। কোনোভাবেই তার সন্ধান মিলছিল না। প্রায় দেড় মাস পর রোববার রংপুরের পীরগঞ্জে একটি ইসলামি জলসায় ওয়াজ করার জন্য অতিথি হয়ে আসেন তিনি। খবর পেয়ে স্ত্রী সোমিয়ার পরিবারসহ আশপাশের লোকজন একত্র হয়ে তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়। পরে সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়। সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের ওসি মাসুদ রানা বলেন, মারপিট করায় ওই গৃহবধূর দুই হাত ভেঙে গেছে। অভিযুক্ত মাওলানা সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn