স্ত্রী-পুত্রসহ তামিমের ওপর এসিড নিক্ষেপের চেষ্টা
স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ও পুত্র আরহাম ইকবাল খানকে নিয়ে ৭ জুলাই ইংল্যান্ডে যান তামিম। দেশে ফেরার কথা ছিল আগামী মাসের শুরুতে। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য লন্ডনে এক মাসের জন্য একটি বাসাও ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। পরশুর ঘটনাটা লন্ডনের ঠিক কোন জায়গায় ঘটেছে, সেটি কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও বিসিবির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড পরিচালক বলেছেন, তামিম ও তার পরিবারকে ধাওয়া করেছিল কয়েকজন লোক। দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ায় তাদের কিছু হয়নি। এ ঘটনার পরই তামিম দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।’ আক্রমণকারীদের হাতে এসিড ছিল বলেও শুনেছেন তিনি।
বিসিবির দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তার ধারণা, ‘তামিমের স্ত্রী মাথায় হিজাব পরেন। হয়তো সে কারণেই তাঁদের টার্গেট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তামিমকে।
এর আগে কাল বিকেলে কাউন্টি ক্লাব এসেক্স তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ব্যক্তিগত’ কারণে তামিম ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন। বিবৃতিতে ইংলিশ কাউন্টির ক্লাবটি আরো লিখেছে, ‘আমরা তার মঙ্গল কামনা করছি। এই সময়ে তামিমের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি সম্মান জানালে আমরা খুশি হব।’
দেশে ফেরার ‘ব্যক্তিগত’ কারণটা কী, জানতে চাইলে তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও চাচা আকরাম খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মুঠোফোনে দুজনই বলেছেন, তামিম নিজেই দেশে ফিরে এসে কারণ জানাবেন। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও।
বেশ কিছুদিন ধরেই ইংল্যান্ডের রাস্তাঘাটে ভিন্ন মত ও বর্ণের মানুষের ওপর কে বা কারা এসিড ছুড়ে মারছে। বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, গত ২১ জুন ইস্ট লন্ডনের বেকটনে রেশম খান ও জামিল মুক্তার নামে দুজনের ওপর এ রকম আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পথচলতি মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেওয়াসহ অন্যান্য আক্রমণের ঘটনা তো ঘটছেই। তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে এসব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে আগামীকাল তামিম ইকবালের দলের পরের ম্যাচ সমারসেটের বিপক্ষে। এসেক্সের হয়ে গত রোববার কেন্টের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটি খেলে এক ছক্কাসহ ৭ রান করেছেন তিনি।