ই-মেইলের মাধ্যমে ইজাব (সম্মতি) দিলে সেই বিয়ে শরিয়ত সম্মত হবে বলে ফতোয়া দিয়েছে দেশের শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা। মাদ্রাসার মুখপত্র মাসিক মঈনুল ইসলামের চলতি অক্টোবর সংখ্যার মাদ্রাসার ‘ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগ’ বা ফতোয়া বিভাগ এ ফতোয়া দেয়। এক পাঠকের প্রশ্নের জবাবে ফতোয়া বিভাগ থেকে বলা হয়— ‘ইজাবকারী (বিয়ের জন্য সম্মতি দেওয়া বর/কনে) ই-মেইলের মাধ্যমে বিবাহকারীর (বর/কনে) কাছে ইজাব (সম্মতি) পাঠালে বিবাহকারী যদি ইজাবকারীকে চিনেন এবং তার প্রবল ধারণা হয় যে এটা অমুকেরই ইজাব তাহলে তিনি সাক্ষীদের সামনে উক্ত ইজাবের পুনরাবৃত্তি করে বলবেন ‘আমি তার ইজাব কবুল করেছি। তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে। ’ ফতোয়া বিভাগ থেকে প্রশ্নকারীর উত্তর দেওয়ার পর রেফারেন্স হিসেবে- ফাতহুল কদীর, রদ্দুল মুহতার, ফতোয়ায়ে আলমগীরীসহ ছয়টি রেফারেন্স হাদিসের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। এ ফতোয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে মাসিক মঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা সরোয়ার কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ই-মেইলের মাধ্যমে বর-কনের মধ্যে কেউ একজন ইজাব বা সম্মতি দিতে পারবে। তবে সম্মতি পাঠানো ওই ই-মেইলটি ইজাবকারীর তা নিশ্চিত হতে হবে। বিয়ে সম্মতি দিয়ে যে মেইল করা হবে তা অবশ্যই প্রিন্ট কপি সাক্ষীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এ প্রিন্ট করা কপি উপস্থিত সাক্ষীদের পড়ে শোনাতে হবে। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে ইসলামী শরিয়ত সম্মতভাবে বিয়ে বৈধ হবে। ই-মেইলে মাধ্যমে সম্মতি পাঠালে ওই বিয়ে ইসলামী শরিয়ত সম্মত বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক মুফতি নুর হোসাইন।

তিনি বলেন, বর-কনের মধ্যে কেউ একজন বিদেশে থাকলে ই-মেইলের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি পাঠাতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে বর-কনের অভিভাবক কিংবা নিকটাত্মীয়ের কেউ বিয়ের বিষয়টি অবগত হতে হবে। কিংবা তাদের মধ্যস্থতায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হবে। অথবা বর-কনের একে অপরের পরিচিত হতে হবে। এ ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সম্মতি দিয়ে মেইলটি আদৌ ইজাবকারী দিয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। ’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn