হিউমিনিটি ফর রোহিঙ্গা’র রোডমার্চ পুলিশী বাধায় পন্ড
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর পৈশাচিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে টেকনাফ অভিমুখে ‘হিউমিনিটি ফর রোহিঙ্গা’ নামক সংগঠনের বিশাল গাড়িবহর যাত্রা শুরু করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ১২টায় সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে রোডমার্চ যাত্রা শুরু করেছে টেকনাফের উদ্দেশ্যে,রোডমার্চ যাত্রা শুরুর আগে সিলেটে এক উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মৌলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, উদ্বোধন করেন আল্লামা আব্দুল মুমিন, বক্তব্য রাখেন মাওলানা শাহীনুর পাশা এডভোকেট,লে.কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান পীর।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী জানান,ইতিমধ্যে প্রশাসনিক অনুমতি সহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের সাথে আরো দেড়শ’র মতো গাড়ি রোডমার্চে যোগ দেবে।
তিনি জানান, রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছে দুপুরের খাবার পর্ব শেষ করবে। যাওয়ার পথে শায়েস্তাগঞ্জে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। রাতে ফেনীর লালপুল সুলতানিয়া মাদরাসায় রাত্রিযাপন করা হবে। পরদিন শুক্রবার সকালে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছাবেন।
পুলিশী বাধায় রোডমার্চ পন্ড,রশিদপুর থেকে ফিরে এলো গাড়ি
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর দেশটির সেনাবাহিনী ও সরকারের পৈশাচিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে টেকনাফ অভিমুখে শতাধিক গাড়ি নিয়ে রোডমার্চে শুরু করেছিল ‘হিউমিনিটি ফর রোহিঙ্গা’। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়িবহরটি সিলেটের দক্ষিন সুরমার রশিদপুর পয়েন্টে গেলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং রোডমার্চটি ফিরিয়ে দেয়।এসময় তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফিরে আসেন।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিকে দক্ষিন সুরমার রশিদপুর পয়েন্টে গেলে পুলিশ বাধা দিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দেয়।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাহিরে থাকায় আমাদের রোডমার্চ করে টেকনাফে যেতে দেওয়া হয়নি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (গণমাধ্যম) মো. জেদান আল মুসা দৈনিকসিলেটডটকমকে জানান, পঞ্চাশটি গাড়ির অনুমোদন থাকলে রোডমার্চে গাড়ির সংখ্যা আড়াই শতাধিক হয়ে যায়। টেকনাফ পর্যন্ত এর সংখ্যা কয়েক হাজারে গিয়ে পৌছবে এতে করে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হতে পারে।তিনি আরো জানান সংগঠনের ত্রাণের গাড়ি টেকনাফ যাওয়ার আমরা অনুমতি দিয়েছি।