হিন্দু-মুসলিম হওয়ায় হোটেলে রুম পেলেন না দম্পতি
স্বামী-স্ত্রী মুসলিম ও হিন্দু ধর্মের হওয়ায় আবাসিক হোটেলে তাদের থাকতে দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর সুদামা নগরের একটি হোটেলে শাফিক সুবেইদা হাকিম ও তার স্ত্রী দিব্যা এ ঘটনার শিকার হন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হৈচৈ পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই গুগল রিভিউতে ওই হোটেলকে কম রেটিং দিতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। পেশায় সাংবাদিক হাকিম জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল’স্কুলে দুপুরে দিব্যার চাকরির ইন্টারভিউ ছিল। সে কারণেই স্ত্রীকে নিয়ে সকালবেলায় শহরে এসেছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরুর ওই হোটেলে একটি রুম বুক করার জন্য সেখানকার রিসেপসনিস্টকে অনুরোধ করেন তারা। কিন্তু দুজনের নাম দেখে তাদের রুম দিতে অস্বীকার করেন ওই রিসেপসনিস্ট। তিনি নাকি প্রথমটায় বিশ্বাস করতেই পারছিলেন না, হাকিম ও দিব্যা বিবাহিত। দম্পতির অভিযোগ, তাদের পরিচয়পত্র দেখার পরেও হোটেলে ঘর দিতে চাননি তিনি। এমনকী, পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বললেও টলানো যায়নি ওই রিসেপসনিস্টকে।
হাকিম বলেন, ‘ওই রিসেপসনিস্ট বার বার বলে যাচ্ছিলেন, আমি মুসলিম আর দিব্যা হিন্দু হওয়ায় আমরা একসঙ্গে ঘর পাব না। নিজেদের অসহায় মনে হচ্ছিল। অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিলাম। দুপুর ২টায় দিব্যার ইন্টারভিউ। ফলে আর সময় নষ্ট না করে আমরা স্থির করি অন্য হোটেলে গিয়ে উঠব।’ হোটেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমকে ওই রিসেপসনিস্ট বলেছেন, ‘যে সমস্ত হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে আসেন তাদের আমরা ঘর দিই না। হোটেলে ঢুকে যদি আত্মহত্যা করেন ওই দম্পতি! আমি এমনটা বলছি না যে হিন্দু-মুসলিম হওয়ার জন্যই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করতেন। সাধারণত গ্রামগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা (হিন্দু-মুসলিম বিয়ে) ঘটে না। সেখানে হিন্দু পুরুষ কোনও মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন না বা কোনও মুসলিম পুরুষও হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেন না।’
হাকিম বলেন, ‘ওই রিসেপসনিস্ট বার বার বলে যাচ্ছিলেন, আমি মুসলিম আর দিব্যা হিন্দু হওয়ায় আমরা একসঙ্গে ঘর পাব না। নিজেদের অসহায় মনে হচ্ছিল। অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিলাম। দুপুর ২টায় দিব্যার ইন্টারভিউ। ফলে আর সময় নষ্ট না করে আমরা স্থির করি অন্য হোটেলে গিয়ে উঠব।’ হোটেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমকে ওই রিসেপসনিস্ট বলেছেন, ‘যে সমস্ত হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে আসেন তাদের আমরা ঘর দিই না। হোটেলে ঢুকে যদি আত্মহত্যা করেন ওই দম্পতি! আমি এমনটা বলছি না যে হিন্দু-মুসলিম হওয়ার জন্যই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করতেন। সাধারণত গ্রামগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা (হিন্দু-মুসলিম বিয়ে) ঘটে না। সেখানে হিন্দু পুরুষ কোনও মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন না বা কোনও মুসলিম পুরুষও হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেন না।’