হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না: প্রধানমন্ত্রী
কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বলেছেন, এর দ্বারা হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সমঝোতার কোনো প্রশ্নই আসে না। লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে মূলধারায় নিয়ে আসতে তিনি কওমি স্বীকৃতি দিয়েছেন বলেও জানান। সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী ১৩ মে অনুষ্ঠিত কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে এই বৈঠক ডাকা হয়।
গত ১১ এপ্রিল গণভবনে তিন শতাধিক আলেমের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে গণভবনে আলেমদের অত্যন্ত হৃদ্যতার সঙ্গে বরণ করে নেন সরকারপ্রধান। এটাকে কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন। এ ধরনের মানসিকতার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কাজ করছে। অতীতের সরকারগুলো যা পারেনি তিনি তা করিয়ে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। ক্ষেত্র বিশেষে বিয়ের বয়স কমিয়ে করা আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তাদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, আমেরিকার অনেক অঙ্গরাজ্যেও ১৩ বছরে বিয়ের বিধান আছে।
এছাড়া সুনামগঞ্জের হাওরের পানিতে তেজষ্ক্রিয় দূষণে মাছ ও জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে বলে বিএনপির দাবির সপক্ষে প্রমাণ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বলব, তারা যে কথাটা বলছে; সেটার প্রমাণ নিয়ে উপস্থিত হোক। এটা বৈজ্ঞানিক বিষয়, এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ হবে। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। তারা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে এভাবে দেখাতে পারলে; জনগণ বিশ্বাস করবে। না হলে, তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ কখনো কান দেবে না। অযথা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক আছে, জ্ঞানপাপী। তারা দেখেও, না দেখেও বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা কথা বলে বেড়াবে।’ বন্যার্তদের সহায়তায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে চুপ করে বসে নেই। প্রত্যেকের জন্য ৩০ কেজি করে চাল ও ৫০০ করে টাকা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে যথেষ্ট সজাগ এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা সেখানে নিচ্ছে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাওরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।