ভারত কোনো টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার অর্থই হলো যেন ৬০০ কিংবা তার কাছাকাছি কোনো স্কোর করা। তবে পাল্লেকেলে টেস্টে পাঁচশ ও ছুঁতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া সেঞ্চুরি না করলে ভারতের রান চারশ ও পার হতো কি না সন্দেহ। তবুও শেষ পর্যন্ত তাদের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৪৮৭ রানে। এই রান নিয়েও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পথে যেন ভারত। সফরকারী স্পিনারদের ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসেই ৩৫২ রানে এগিয়ে ভারত। বিরাট কোহলি ভাবলেন নিশ্চিত জযের মুখে দাঁড়িয়ে তারা। টেস্টের বাকি এখনও তিনদিন। সুতরাং, সুযোগটা কাজে লাগালেন তিনি। ফলো অন করালেন শ্রীলঙ্কাকে। ভারতের করা ৪৮৭ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। দিমুথ করুনারত্নে, উপুল থারাঙ্গা, কুশল মেন্ডিস কিংবা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ- কেউই পারেননি ভারতীয় স্পিনের সামনে দাঁড়াতে। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ।
মিডল অর্ডারে দিনেশ চান্ডিমাল এবং নিরোশান ডিকভেলা কিছুপা প্রতিরোধ গড়েন। এ দু’জনের ৬৩ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কার স্কোর ১০০ পার করে দেয়। দলীয় ১০১ রানে ব্যাক্তিগত ২৯ রান করে ডিকভেলা আউট হয়ে গেলে সব চেষ্টা শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের। এরপর দ্রুত কুলদীপ যাদবের কাছে উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন চান্ডিমাল। ভারতের হয়ে ৪০ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি এবং রবিচন্দ্র অশ্বিন। ১ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৫২ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামলো লঙ্কানরা। কিন্তু এবারও তাদের ভাগ্যের সিকে ছিঁড়ছে না সম্ভবত। কারণ, স্কোরবোর্ডে ১৫ রান উঠতেই উমেষ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান উপুল থারাঙ্গা। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার রান ১ উইকেট হারিয়ে ১৯। এখনও তারা রয়েছে ৩৩৩ রান পেছনে। বাকি ৯ উইকেট হাতে নিয়ে কতদুর যেতে পারবে লঙ্কানরা? সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২২০ বার