ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর। নতুন আইনের মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যম বা মুক্তমনা মানুষের কথা বলার অধিকার খর্ব করতে চায় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ। শুক্রবার (২ ফেব্রয়ারি) দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, `৫৭ ধারা অত্যন্ত বিতর্কিত ধারা ছিল, সকল সাংবাদিক ও মুক্তমনা মানুষ এটার বাতিল চেয়েছিল। কিন্তু সরকার কেবিনেটে ৫৭ ধারা বাতিল করে যে ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করেছে, তা আরো ভয়ঙ্কর। কারণ ৫৭ ধারা যে অপরাধের জন্য শাস্তি ছিল, তা নতুন ধারায় আরো সম্প্রসারিত করেছে। এই আইনে সাংবাদিকরা ইচ্ছা করলে গোপনীয়ভাবে কিছুই করতে পারবেন না, মুক্তমনা মানুষ তার মতপ্রকাশ করতে পারবেন না।’ তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার একদলীয় কায়দায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষেই হাঁটছে। ৫৭ ধারা বাতিল করে যে ডিজিটাল আইন বা নীতি প্রণয়ন করেছে, তা একদলীয় ধ্যানধারণা থেকেই। সংবাদপত্র বা মুক্তমনা মানুষের কথা বলার অধিকারকে তারা খর্ব করতে চায়। আমরা নতুন এআইন প্রণয়নের তীব্র নিন্দা জানাই।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘আসলে ট্রেডিশনাল ভাষায় বলতে হয়- শুধু বোতল পাল্টানো হয়েছে। মানে নতুন বোতলে পুরানো মদ…।’ একজন মানুষ যতভালোই হোক শুধু তার যদি প্রশংসাই হয়, তাহলে সে তো মানুষ থাকে না, সে তো ফেরেশতা হয়। মানুষ মাত্রই সমালোচনা থাকতে পারে। এখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে তো কথাই নেই। তর্কহীন সমাজ কোনো সমাজ নাকি! তাহলে এটা তো মৃতসমাজ।’ তারা বলেন, এটাকে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করে শাস্তির আওতায় আনা হলে অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা বিপন্ন হবে, দুর্নীতিবাজরা লাভবান হবে। যা কোনো ক্রমেই কাম্য হতে পারে না। এ আইন পাস হলে তা একটি কালো আইন হিসাবে স্বীকৃত হবে। তাই সরকারের উচিৎ নতুন ৩২ ধারার মাধ্যমে যেসকল বিধান প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn