৭ জুন ছিল ‘টার্নিং পয়েন্ট’: কাদের
ঢাকা: স্বাধীনতার আন্দোলনে ৭ জুন (ছয় দফা দিবস) ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা ৭ জুনকে অস্বীকার করেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদের বলেন, ৭ জুন আমাদের স্বাধীনতার পথে ঐতিহাসিক এক মাইলফলক। এদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত ঐতিহাসিক ছয় দফার লক্ষ্যই ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। এ জন্য স্বাধীনতার আন্দোলনে ৭ জুন ছিল ‘টার্নিং পয়েন্ট’। মনু মিয়াসহ যেসব শহীদ সেদিন আত্মদান করে গেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনিদক বলেন, ৭ জুনের পথ ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর আজ আমাদের মুক্তির সংগ্রামের কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি শোষণ ও দারিদ্র্য মুক্তির মধ্য দিয়ে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, যারা এই দিবসটিকে অস্বীকার করেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাকে বিশ্বাস করে না।
প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় দফার ভিত্তিতেই পরবর্তী সময়ে ঊনসত্তরের গণবিস্ফোরণ এবং ১১ দফা আন্দোলন। এর পর ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। আর এই ভাষণের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন। ছয় দফা দিবসে আজ সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুননাহার লাইলী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান ও আমিরুল আলম মিলন, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।