প্রোপাগান্ডা তাদের বিরুদ্ধেই করতে হয় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে
আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুক থেকে)-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আমার নাম নিয়ে বিষোদ্গার করেছেন। অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি প্রোপাগান্ডা সেল করে বেগম জিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করছি। আমাকে নিচে নামাতে গিয়ে অনেক নিম্নরুচি সম্পন্ন কথা বলে আসলে নিজের রুচির পরিচয় দিয়েছেন। ঐসব নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনা। রিজভী সাহেব নিশ্চই জানেন প্রোপাগান্ডা তাদের বিরুদ্ধেই করতে হয় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যায়না। এই রিজভী সাহেব ও ওনাদের নেতারাই প্রোপাগান্ডা করেছিলেন- বঙ্গবন্ধু পুত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত, আওয়ামীলীগ হিন্দুদের দল, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ভারত হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে। হাইতির গণহত্যার ছবিকে মতিঝিলে হেফাজতের হত্যাকান্ড বলে চালিয়েছে, চাঁদে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ছবি – এইরকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যাবে। যার সবগুলোই ছিল বানোয়াট ও মিথ্যা তা পরে প্রমান হয়েছে।
কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানসহ অভিযোগের শেষ নেই, এফবিআই এসে স্বাক্ষী দিয়ে যায়, বিদেশের আদালত তাদের দলকে সন্ত্রাসীদের দল ও দুর্নীতিবাজদের দল বলে আখ্যায়িত করে, যেই প্রধানমন্ত্রীর পুত্রদের পাচার করা টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে, যেই দল গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজদেরকে দলীয় নেতৃত্বে আনার বিষয়টি বৈধ করেছে – সেখানে আমার মতো ছোট মানুষ ফেসবুকে কি দিলাম না দিলাম তা কিন্তু খুব একটা গুরুত্ববহন করে না। অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে কোনো তথ্যই চাপা থাকেনা। আমি একজন সাংবাদিকের ওয়াল থেকে নিয়েই ম্যাডাম জিয়ার ভিডিওটি শেয়ার দিয়েছিলাম। এই ভিডিওটিতে কোনো ভুল থাকলে উনি তা ধরিয়ে দিলেই পারতেন। কিন্তু এর পরিবর্তে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করে রিজভী সাহেবরা আবারো তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমানই দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত একজন জানালেন, সাংবাদিক সম্মেলন শেষে “অব দ্যা রেকর্ডে” তিনি নাকি আমাকে দেখে নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এটা সত্য কি মিথ্যা আমি জানিনা। তবে এই নিয়ে চিন্তিতও নই। কারণ এটাই তাদের আসল চরিত্র। রাজনীতি ও তর্কে না পারলে সন্ত্রাস, খুন খারাবি, চরিত্রহননের পথ বেছে নেয়।