আয়ু থেকে বিপদ মুক্তির ছক 0000
সেজুল হোসেন (ফেসবুক স্টেটাস থেকে)
লুঙ্গির প্রায় অর্ধেক কোমরে প্যাচানো। হাফ প্যান্টের মতো লুঙ্গিটা পরা। গায়ের শার্ট দেখে মনে হলো, এই শার্ট পিতা-পুত্র দুজনেই পরেন। উদ্ভ্রান্ত, অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে মুখ কালো করে ট্রাফিক পুলিশের লরিতে হেলান দিয়ে পা দিয়ে কি যেনো আঁকিবুকি করছেন, নিজের অদৃষ্ট হয়তো। একটু দূরে রিক্সাওয়ালাকে কাবু করতে পারার গর্বিত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর। পুলিশের গাড়ির ভিতরটা দেখলাম, উপুত করে রাখা একটি রিক্সা। লোকটা অপরাধ করেছে হয়তো, মানেনি ট্রাফিক আইন, শাস্তি স্বরুপ রিক্সা খোয়া যাবে। রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্ত হচ্ছে যে ব্যাংকে সেই ব্যাংকের পথ চলে গেছে ঘটনার পাশ দিয়ে। রাতভর ব্যাংক পুড়ে যাবার খবর, সিলেটে জঙ্গি অপারেশনেরর খবর। কোনও খবরই আমাকে খুব একটা ছুঁলো না। গতকাল দুপুরে কাকরাইল আইডিইবি ভবনের বিপরীতে সড়কের পাশে এই দৃশ্য আমাকে ভয়ানক আক্রান্ত করেছে। মুখটা মনে পড়লেই বুকটায় ব্যথা হয়। অসহায়ত্বর চেয়ে বড় অভিশাপ আর হয় না। সংসার টানবে বলে যে রিক্সাই ছিলো অবলম্বন, ভাড়ায় নিয়ে আসা সেই রিক্সা খুইয়ে গ্যারেজ মালিকের হাত থেকে বাঁচার কৌশল নাকি পায়ের নোখে ভাগে পাওয়া এই বিপদ-আয়ু থেকে মুক্তির ছক আঁকছিলো লোকটি? কে জানে আজ কেমন আছে আমার এই মানুষ ভাই।