পিযুষ কর এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ঃঃ

-শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার,শহীদ আবুলহুসেন মিলনায়তন,শহীদ তালেব ছাত্রাবাস সহ অনেক স্থাপনা,রাস্তা আমরা শহীদদের নামে নামকরণ করেছি। যারা ১৯৭১ সনে সুনামগন্জের মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন উনারা অবশ্যই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্তের নাম শুনেছেন। জন্ম হবিগন্জ জেলার আজমিরিগন্জ উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে১৯৫২ সালে। বাবা নীলকান্ত ও মা চন্দ্রময়ী দাস। তিনিছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ১৯৬৯ সালে বিরাট এএবিজি হাইস্কুল থেকে প্রথম শ্রেণীতে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৭১সনে তিনি ছিলেন সিলেট এম,সি কলেজের ছাত্র। মেঘালয় এ,কিউ,ওয়ান মুক্তাযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে২৮দিন প্রশিক্ষণ গ্রহণকরেন। শ্রীকান্তের ব্যাচনং-৬। তিনি কোম্পানি কমান্ডার এনামুলহক চৌধুরীর নেতৃত্বে সরাসরি যোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি অকুতভয় যোদ্ধা।

বিজয়ের মাত্র দুইসপ্তাহ আগে ২৭শে নভেম্বর ভৈষের পাড় ও ষোলঘরের মাঝামাঝি সম্মুখযোদ্ধে পাকসেনাদের হাতে শহীদহন শ্রীকান্ত। রাস্তায় পড়েছিল উনার লাশ। বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে শ্রীকান্তের দেহথেকে হৃদ পিন্ডও চোখ খুলেনেয় হায়েনার দল। ডরুরা গণকবরের ৪৪নংস্মৃতি স্বারকটি শহীদ শ্রীকান্ত দাসের। সুনামগন্জের ভকেশনাল ইনষ্টিটিউশন ও সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাস স্বাধীনতার পর শহীদ শ্রীকান্তের নামে নামকরণ করা হলেও সুনামগন্জের ভকেশনালের কোথাও শ্রীকান্তের নাম চোখে পড়েনা। সুনামগন্জের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে আমাদের দাবি সুনামগন্জের ভকেশনাল ইনষ্টিটিউশন সহ যে সকলপ্রতিষ্ঠান থেকে শহীদদের নাম মুছা হয়েছে তা উদ্ধারে আমরা সচেষ্ট হতে পারিনা। সুনামগন্জের বিভিন্ন স্কুল কলেজের অনুষ্ঠানে আমরা যদি বীর শহীদদের জীবনি আলোচনা করি তাহলে মুক্তিযোদ্ধ সম্বন্ধে বর্তমান প্রজন্ম অনেক কিছু জানবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবুলহুসেন, গণেশ দাস, তালেব,গিয়াস উদ্দিন, জগৎজ্যোতি, শ্রীকান্ত উনারা আমাদের অহংকার। উনাদের বাঙ্গালীজাতি চিরদিন মনে রাখবে। যত দিন লালসবুজ থাকবে ততদিন আমরাও মাথা উচুকরে থাকব।সবাইকে ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn