ছাতকে সরকারী গাছ চুরি ও সন্ত্রাসী মামলার আসামি আকিকে’র জামিন নামঞ্জুর
ছাতকের জালালপুর-লামা রাসুলগঞ্জ সড়ক থেকে প্রায় চার লাখ টাকার সরকারি গাছ কেটে নেয়া ও ছাতকের পালপুর তালুকদার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার মামলার অন্যতম আসামী ছাতক জামাতে ইসলামীর ক্যাডার মোল্লা আকিকের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার আকিক ওরফে ছাগু আকিক সরকারি গাছচুরি সহ সন্ত্রাসি হামলার মামলায় আত্ম-সমর্পণ করলে আদালত তার অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে জামিন আবেদন নাকচ করেন। জানাযায় আকিক দীর্ঘদিন ধরে পালপুর দাখিল মাদ্রাসা সহ সন্নিহিত এলাকায় ছাত্র শিবির ও জঙ্গী ভাবাদর্শ প্রচার করে আসছিল। পরবর্তিতে নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে যায়। পাঁচ মাস পূর্বে পালপুরে সংঘটিত বসতবাড়িতে হামলায় সে নেতৃত্ব দেয়।
উল্লেখ্য গত ১৯ ও২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় বখাটে সি এন জি চোর এবং সরকারি গাছকাটা ও ভুমিখেকো বিভিন্ন গোষ্ঠির হামলায় পালপুর তালুকদার বাড়ির সর্বজনপ্রিয় তাহিদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর তালুকদার, শাহ আলম শামসুল আলম সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
জামাতের ক্যাডার আকিক মোল্লাকে জেল হাজতে প্রেরণের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকার প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীরা। এলাকার সমাজসেবী মৌলভি মোশাহিদ তালুকদার বলেন, এরকম কুখ্যাত ক্যাডারকে বিচারের আওতায় না নিয়ে আসতে পারলে এলাকায় মৌলবাদী ও চরমপন্থীদের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। যে এলাকায় জামাতি রাজনীতিকে মানুষ মন থেকে ঘৃনা করত, সেখানে এই ‘ছাগু আকিক’ কোমলমতি কিশোরদের ব্রেইনওয়াশ করে শিবির সহ জঙ্গিবাদি ভাবাদর্শে উজ্জীবিত করছে। লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি গাছ চুরি করে সেট বিক্রি করে জামাতের স্থায়ি বুনিয়াদ গঠনে ফান্ডিং করে যাচ্ছে। যুবলীগনেতা ও তরুণ গীতিকার শাহ আলম জানান, মোল্লা আকিক এলাকায় যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে গেলেই বিভিন্নভাবেই বাধা দিয়ে আসছে। অনুষ্ঠান ভন্ডুল করতে কোমলমতি স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের লেলিয়ে দিত। আমারা মনে করি তার কর্মকান্ডের উপর অনেক বেশি গোয়েন্দা নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।