নবীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৪, আহত ১০
উত্তম কুমার পাল হিমেল-
ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ঈদ পরববর্তী ৩দিনে পৃথক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় ৪জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট নতুন বাজারের নিকটে সিএনজি অটো রিক্সা ও প্রাইভেট মাইক্রোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ছেলেসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন শিশুসহ অন্তত ৮ জন। আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট গামী রেনেটা ঔষধ কোম্পানির একটি প্রাইভেট মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো গ-২০-১৮৬৩) এর সাথে গোপলার বাজার স্টেন্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি অটো রিক্সা (মৌলভীবাজার থ-১২-২০৮২) অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে উল্লেখিত স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই দেবপাড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্র ওমর আলী (১০) নিহত হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে নিহত ওমর আলীর মাতা সুজিয়া বেগম (৪০) কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে অন্যান্য আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথিমধ্যে সিএনজি অটো রিক্সা চালক দেবপাড়া ইউনিয়নের ভানুদেব গ্রামের তোয়াহিদ মিয়ার ছেলে তজমুল আলী (৩০) মৃত্যুর খুলে ঢলে পড়ে। অপর আহতদেরর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একই ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে ডঃ লিটন আহমেদ (৩৫) ও আম্বিয়া বেগম (৪০) নামে এক মহিলার অবস্থা সংকাটাপন্ন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে গত মঙ্গলবার মহাসড়কের আউশকান্দি ইউনিয়নের মজলিশপুর নামক স্থানে ঢাকা গামী দ্রæতগতির প্রাইভেট মাইক্রো হাইয়েস গাড়ি চাপায় আয়ফর মিয়া (১৮) নামের যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্লান্টের সড়ক থেকে দ্রæতগতির মোটর সাইকেল বেড়িয়ে আসার সময় মোটার সাইকেল আরোহীদের বাঁচাতে মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা আয়ফর মিয়াকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলের মারা যান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত খানা খন্দ ও সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজি অটো রিক্সা হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগায় অবাধে চলাচল করার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে অহরহ সড়ক দূর্ঘটনা। এতে অনেক প্রাণহানি ও পুঙ্গত্ব বরণ করছে অনেক যাত্রী সাধারণ। এছাড়া যানবাহন দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে যানবাহনের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি ভিমল চন্দ্র ভৌমিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা এবং যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।