দিরাই উপজেলার চরনারচর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার চৌধুরী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন রায় চৌধুরী ও অফিস সহকারি বিজিৎ রায়সহ বিদ্যালয় কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে হুমকি-ধামকির অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন রায় বাদি হয়ে চন্দ্র কুমার  বৈষ্ণব (পার্থ)-কে আসামি করে আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। সি আর মামলা নং ৬৮/১৭ইং । বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন রায় চৌধুরী জানান- গ্রামের চন্দ্র বাহিনীর অপতৎপরতার কারণে এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভীতসন্ত্রস্ত শিক্ষক কর্মচারীরা আতংকের মধ্য দিয়ে শনিবার (০১ জুলাই) বিদ্যালয়ে যান। এ ব্যাপারে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন- “প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে বলেন, ‘আজ ক্লাস শুরু হচ্ছে। স্কুলে যাতে কোন সমস্যা না-হয় খোঁজ খবর রাখবেন। মামলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” এলাকাবাসী জানান- পরিচালনা কমিটিতে পরাজয়ের পর থেকে কামালপুর গ্রামের মৃত প্যারীমোহন বৈষ্ণবের ছেলে চন্দ্র কুমার বৈষ্ণব ও তার লোকজন চরনারচর বাজারে মাইকিং করে সভা আহ্বান করেন। সভায় বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন রায় চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান ও তার পিতা প্রয়াত রবীন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী (নিশি বাবু)-কে ডাকাত ও রাজাকার বলে গালিগালাজ করেন  চন্দ্র কুমার বৈষ্ণব। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদেরকে নাজেহাল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চন্দ্র ও তার বাহিনীর লোকজন। তাদের হুমকি-ধামকিতে প্রাণভয়ে ভীত হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে  প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারি দিরাই থানায় জিডি করেছেন।
এছাড়াও গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেনোনিত প্রার্থী নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় চন্দ্র কুমার বৈষ্ণব । নৌকার বিজয় ঠেকাতে মরিয়া হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী চিত্ত দাসের পক্ষে অবস্থান নেয়। কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি করে নৌকার সমর্থকদের ভোট দানে বাধা প্রদান করেন। এসময় পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা চলাকালে চন্দ, হিমেল দাস ও অমর চক্রবর্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় তারা। নৌকার এজেন্ট নিত্যলাল দাস ও নির্মল সূত্রধর জানান- গত ইউপি নির্বাচনে চন্দ্র বেষ্ণব নৌকার সমর্থকদের বাধা প্রদান করে গোলযোগ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। বেশ কিছুদিন আগে চাঁদা না-দেয়ায় চরনারচর গ্রামের মৃত মতিলাল রায়ের ছেলে সুনীল রায়ের দোকানঘর ভাংচুর চালায় চন্দ্র বাহিনী। কামালপুর গ্রামের মৃত খালেক ফকিরের ছেলে মানিকশাহর কামালপুর মৌজায় জায়গা দখল করে মায়ের নামে সমাধি স্থাপন করে চন্দ্র কুমার বৈষ্ণব। এ ব্যাপারে চন্দ্র বৈষ্ণব জানান- আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাঁড় করানো হচ্ছে। আমিও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn