যাদুকাটা নদীর উপর দেড়’শ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ হচ্ছে
তাহিরপুর উপজেলা তথা সীমান্ত এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবি পাহাড়ি নদী যাদুকাটা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের। এই সেতুটি প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্প ও একনেক প্রকল্পের অনুমোদিত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নদীতে সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। অবশেষে দেড়’শ কোটি টাকা ব্যয়ে তাহিরপুর উপজেলার বিন্নাকুলি এলাকায় যাদুকাটা নদীর উপর ৭৫০ মিটার লম্বা সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ধর্মপাশা-মধ্যনগর, মহেশখলা, টেকেরঘাট, লাউড়-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এই সেতু নির্মাণের পাশাপাশি নদী তীর রক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করা হবে। যাদুকাটা নদীর উপর বিন্নাকুলি বাজার ও ইসকন মন্দিরের দক্ষিণ দিকে সেতু নির্মাণ করা হবে। এই সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবানের খবরে খুশি হয়েছেন তাহিরপুরসহ সুনামগঞ্জবাসী।
তাহিরপুরের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদচ্ছির আলম সুবল বলেন,‘ যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ তাহিরপুর তথা সুনামগঞ্জবাসী দীর্ঘদিনের দাবি। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সেতু নির্মাণের পর তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বদলে যাবে। অবহেলিত তাহিরপুর একটি নয়াভিরাম ও দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকায় পরিণত হবে। শুধুমাত্র একটি সেতুর অভাবে সবকিছু পিছিয়ে ছিল, সেতু নির্মাণ হলে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।’ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই সেতুটি এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। সেতুটি নির্মাণ হলে সুনামগঞ্জ বদলে যাবে। এই সেতুটি আধুনিক ও নয়নাভিরাম সেতু। এই সেতুর সাথে তাহিরপুরের বারেকের টিলা, যাদুকাটা নদী, অদ্বৈত্য মহাপ্রভুর মন্দিরের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ স্থাপন হবে।
ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,‘এই প্রকল্পটি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিঘ্রই সেতুর কাজ শুরু হবে। এই সেতু নির্মাণের পর তাহিরপুর উপজেলা তথা সীমান্ত এলাকা বদলে যাবে। এই সেতু নির্মাণের পর ধর্মপাশা-মধ্যনগর-টেকেঘাট-লাউড়-সুনামগঞ্জ শহরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। সেতু থেকেই যাদুকাটা নদী, পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এই সেতুর মধ্য দিয়ে তাহিরপুর পর্যটন এলাকায় পরিণত হবে।’