ব্রেক্সিট বিষয়ে আলোচনায় বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে দলীয় এক হুইপকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। অ্যান মেরি মরিস নামে ওই এমপি নিউটন অ্যাবট থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউনিয়নটি থেকে বের হয়ে গেলে কী কী সুবিধা মিলবে লন্ডনে এই সংক্রান্ত এক আলোচনায় মেরি বর্ণবাদী ওই মন্তব্য করেন, যার জন্য পরে ক্ষমা চান তিনি। “ওই মন্তব্য ছিল সম্পূর্ণভাবে অনিচ্ছাকৃত। এজন্য যা কিছু হয়েছে তার জন্য আমি সরাসরি ক্ষমা চাইছি,” বলেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মেরিকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে জানান, ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ ওই ভাষা শুনে তিনি ‘হতভম্ব’ হয়েছেন। তাত্ক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে চিফ হুইপের সঙ্গে কথা বলে হুইপ মেরিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন মে। “যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে বর্তমানের রাজনীতি বা সমাজে তার কোনো স্থান নেই,” এক বিবৃতিতে বলেছেন তিনি।

হাফিংটন পোস্ট জানায়, পলিটিয়া থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত এক আলোচনায় এমপি মেরি ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কী কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় অন্য অনেক এমপিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইইউয়ের সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তি না হলে ‘কাঠের গাদার মধ্য লুকিয়ে থাকা খাঁটি নিগ্রো’ পাওয়া যাবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে এই বাক্যাংশের প্রচলন হয়েছিল। ২০১০ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন মেরি। এরপর ২০১৫ সালে এবং চলতি বছরের আগাম নির্বাচনেও কনজারভেটিভ দলের টিকেটে এমপি হন তিনি।
বিবিসি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn