ছাতকে ৮টি কৃষি ক্লাব গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহে অর্থ বরাদ্ধ
ছাতকে উপজেলার ৮টি এলাকায় কৃষি ক্লাব ও তথ্য পরামর্শ কেন্দ্র গঠন এবং ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, আলমিরা, বই, ছবিসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারন করার জন্য ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সমম্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা খান ছানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক, প্রকৌশলী আবুল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ আব্দুস সহিদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন সাহেল, গয়াছ আহমদ, আব্দুল মছব্বির, আওলাদ হোসেন মাষ্টার, আবুল হাসনাতসহ কমকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ ও সহজতর করার লক্ষ্যে সভায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর, নোয়ারাইবাজার, জাউয়াবাজার, চেচান বাজার, গোবিন্দগঞ্জ বাজার, সিরাজগঞ্জ বাজার, খরিদিচর বাজার ও মঈনপুর বাজারে কৃষি ক্লাব ও তথ্য পরামর্শ কেন্দ্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কৃষি ক্লাব ও তথ্য পরামর্শ কেন্দ্র গঠনের বিপরীত ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ১৭ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ বাজার কৃষি ক্লাব ও তথ্য পরামর্শ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের দিন সিলেট বিভাগের সকল কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। পরে পর্যায়েক্রমে জুলাই মাসের মধ্যেই বাকী কৃষি ক্লাবগুলোও উদ্বোধন করা হবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, আলমিরা, বই, ছবিসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারন করে রাখার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই স্ব-স্ব ইউনিয়নে এসব কার্যাক্রম সম্পন্ন করার জন্য সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রতি অনরোধ জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত গুলিকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক সুবিধা কৃষকদের হাতের নাগালে পৌছে দিতেই ৮টি কৃষিক্লাব গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধে চেতনা জাগ্রত রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।