সুন্দর বিশ্রি আইন ৫৭ ধারা
রাজীব বাছিত-ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে-
৫৭ ধারা বলে গন্য করা হবে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল বা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে। শাস্তি হিসাবে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড।
বাহ কি সুন্দর বিশ্রি আইন। এই আইনের আওতায় এনে কত জানা অজানা মানুষদের যে ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে মামলা করে সরকার কি তার খবর রাখে। মানুষ এখন তাদের সাধারন মতামত ই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ করতে ভয় পায়। আমার এক বড় ভাই নিজে লইয়ার হওয়া সত্তেও ৫৭ ধারার আওতায় মামলা খেয়েছেন শুধুমাত্র এফবিতে সাধারন ভাবে নিজের মতামত প্রকাশের জন্য কারো বিপক্ষে পক্ষে না লিখে ও। একজন টি এন ও কে জেলে যেতে হয়েছে কোন কিছু না করে ও। কিছুদিন পর হয় তো দেখা যাবে দেশে আর কোন নিরপেক্ষ পত্রিকা থাকবেনা কলাপাতা ছাড়া। শুধু থাকবে হলুদ সাংবাদিকতা আর জি হুজুর জি হুজুর।এই আইন পর্যালোচনা করলে প্রথমেই দেশের কিছু মন্ত্রির মামলা খাওয়া উচিত যেভাবে তারা personal বা religion এ আঘাত করে কথা বলেন। তাদের আগে শাস্তি হওয়া উচিত। এম নকি পবিত্র সংসদে ও তারা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে পিছ পা হন না।