চেয়ারম্যানের হাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লাঞ্চিত
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে ত্রাণের নগদ ৫শত টাকাসহ ৩০ কেজি চাল বিতরনে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান মকসুদ আলীর হাতে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লাঞ্চিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান,চেয়ারম্যান মকসুদ আলী সরকারের বরাদ্ধকৃত ত্রাণের ২০ বস্তা চাল দরিদ্রদের মধ্যে বিতরনের আগেই কালোবাজারে বিক্রয় করে দেন। পরে কার্ডগ্রহীতাদেরকে নির্ধারিত ৩০ কেজির স্থলে প্রদান করেন ২০ কেজি করে। মিটার পদ্ধতির বাটখারার স্থলে প্লাস্টিকের বালতি দ্বারা তিনি চাল মেপে দেন। কার্ডধারীরা বাজারে গিয়ে প্রচলিত বাটখারা দিয়ে চাল ওজন করে ৩০ কেজির স্থলে ২০/২২ কেজি করে চাল পান। স্থানীয় ঘাসিগাও গ্রামস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স কার্যালয়ে গিয়ে মোবাইল ফোনসেটে এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন স্থানীয় নারায়নতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোবারক হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। এসময় ওজনে চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যান মকসুদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে মকসুদ আলী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুর রাজ্জাককে মারপিঠক্রমে তার হাতের মোবাইল ফোন ছিনতাইসহ তাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটক করে রাখেন। এ খবর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাৎক্ষনিকভাবে ইউনিয়ন অফিস ঘেরাও করে আটককৃত আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করেন। অন্যদিকে আটককারী চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের হাতে নাজেহাল হওয়ার ভয়ে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনসেট সহকারে ঘটনাস্থল থেকে দ্রæত পলায়ন করেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মকসুদ আলী বলেন,এমপির প্রতিনিধি,ট্যাগ অফিসার,আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাসহ বিতরন কমিটির সকলের সিদ্বান্তমতে আমরা বালতি দ্বারা চাল দিয়েছি। বিতরনে অনিয়মের অজুহাতে বাজারে মিটার দ্বারা চাল মাপা ও মোবাইলে ছবি উত্তোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছিলো। অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন,চেয়ারম্যান মকসুদ আলী সরকারী ত্রাণের চাল কালোবাজারে বিক্রয়ের পাশাপাশি পরিমাপে কম ও বন্টনে অনিয়ম করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আগেও জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দুর্নীতিবাজ মকসুদ আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আইনগত প্রতিকার না পেলে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেবো। তবুও ত্রাণের চোরাইকৃত চাল হজম করতে দেবোনা।