ছাতকে উগ্র নারীর কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে মামলা নিয়ে গ্রামের মানুষের সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান, মসজিদের মোতাওয়াল্লিসহ প্রবীণ লোকজনকে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িয়ে প্রভাবিত হয়ে মামলা নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২ আগস্ট) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ছাতকের সৈদরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী। তিনি নিজে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ছাতকের সুহিদপুর গ্রামের আলী হোসেন বুলুর স্ত্রী নাজমা আক্তার অসামাজিক ও উগ্রপ্রকৃতির মহিলা। গ্রামের লোকজন তার আচরণের ব্যাপারে অবগত। তার অসদাচরণ সহ্য করতে না পেরে স্বামীও সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে যায়। নাজমা আক্তার প্রবাসী আব্দুল মনাফের বাসায় বসবাসরত। এখানে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার বেপরোয়া আচরণে গ্রামের মানুষের মানসম্মান সামাজিক পরিবেশের সৌন্দর্যহানি ঘটছে। গ্রামের মুরব্বিয়ানরা বিষয়টি বাড়ির মালিক প্রবাসী আব্দুল মনাফকে অবগত করলে প্রতিকার মিলেনি, উল্টো বিপত্তি ঘটে। উপরন্তু নাজমা ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের মানুষকে শায়েস্তা করতে মামলা করে।  নাজমা আক্রোশবশত; সঙ্গীদের প্ররোচনায় সাজানো মামলায় তাকে প্রধান আসামি করা হয়, দাবি করেন সাবেক এই চেয়ারম্যান। মামলায় মসজিদের ৬২ বছর বয়সের মোতাওয়াল্লিসহ মোট ৩০ জনকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অথচ গত ২৩ জুন রাতে গ্রামের মুরব্বি মুজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে নাজমার এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে থাকায় সাধারণ ডায়েরী করি। ওই রাতেই ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ও ওসি তদন্ত আশরাফুল, এসআই আব্দুল ওয়াহিদ প্রভাবিত হয়ে তদন্ত না করেই নাজমা আক্তারের পক্ষে সাজানো মামলা নেন।  মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে সাক্ষ্য প্রমাণেও পুলিশ এর কোনো সত্যতা পায়নি, এমন অভিযোগ করা হয়। নাজমা আক্তারসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে গত ২৫ জুলাই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, বলে সংবাদ

সম্মেলনে জানানো হয়।এসময়উপস্থিত ছিলেন, সৈদরগাঁও ইউনিয়নের সুহিদপুর গ্রামের মনোহর আলী, ছদরুল ইসলাম, রইছ আলী, আব্দুল খালিক, ওয়াছির আলী, আনফার আলী, আনোয়ার উদ্দিন, জুয়েল মিয়া, ফজলু মিয়া, শেকুল মিয়া, নিবাস উদ্দিন, কবির মিয়া, হাসনাত মিয়া, আবু বকর মিয়া, আব্দুল হক, আলতাবুর রহমান, বাদশা মিয়া ও শামীম মিয়া প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn