জিন-ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে এবং সেই ভিডিও সহযোগীদের মাধ্যমে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতো ‘ভণ্ডপীর’ আহসান হাবিব পিয়ার। গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। শুক্রবার শেষ হওয়া সেই রিমান্ডে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে শতাধিক নারীর সঙ্গে এরকম সম্পর্ক স্থাপন করার কথা স্বীকার করেছে সে। ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পারদর্শী ভণ্ডপীর আহসান হাবিব পিয়ার তরুণীদের কাছে ছিল আকর্ষণীয় পুরুষ। কথার জাদুতে মুহূর্তেই তরুণীদের আকৃষ্ট করার অসম্ভব ক্ষমতা তার। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ‘নানা সমস্যা নিয়ে ছুটে আসা উঠতি বয়সী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার নারীদের কথার জাদুতে ফেলে এসব অপকর্ম চালাত সে। হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস পড়াশোনা শেষ করে গত তিন বছর ধরে সে এসব অপকর্ম করে আসছে। ’

রিমান্ডে ভণ্ডপীর পিয়ার জানিয়েছে, তার এ কাজে বেশ কয়েকজন সহযোগিতা করতো। সে যখন নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে, তারা তা ভিডিও করতো। পরবর্তীতে পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। এছাড়া ইসলাম প্রচারের কথা বিভিন্ন জনের কাছ টাকা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সে। গোয়েন্দাদের পিয়ার জানিয়েছে, বাসার পাশাপাশি উত্তরায় ঘণ্টা চুক্তিতে রুম ভাড়া নিয়ে সে এ কাজ করেছে। আর গোপনে সেই ভিডিও ধারণ করে তার সহযোগীরা। এবং ভিডিওগুলো পরবর্তীতে তার কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষণ করা হয়। তবে শুধু দেশের ভেতরের নারীরা যে তার দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন এমন নয়। প্রবাসী নারীদের কাছ থেকে কথা জাদুতে মুগ্ধ করে এবং ইসলাম প্রচারের দোহায় দিতে মোট অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে পর্নো উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn