ঢাবিতে লাশ ফেলতেই আরেফিন স্যারকে সরানো জরুরি
আশরাফুল আলম খোকন-
দেশের রাজনীতিতে তিনটি স্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট এবং প্রেসক্লাব। এই তিনটি স্থানকে অস্থিতিশীল কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যেকোনো সরকারের ভিত নড়িয়ে দেওয়া যায়। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী এবং তাদের দোসররা প্রেসক্লাব নিয়ে অনেকদিন অপচেষ্টা করলেও এখন হতাশ। কোর্ট প্রাঙ্গণে তাদের অবস্থান এখনো সুদৃঢ়। মাঝে মধ্যেই এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সাড়ে আট বছরে তারা কোনো অবস্থানই তৈরি করতে পারেনি। উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্যার বঙ্গবন্ধু কন্যার সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছেন।
বিএনপি জামায়াত নিজেরা ঢুকতে না পেরে এখন ব্যবহার করছে তাদের দোসর তথাকথিত সুশীলদের। এই সুশীলরা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ওনাদেরকে ব্যবহার করছেন আরেফিন স্যারের বিরুদ্ধে। এই সুযোগে সুশীলরাও মাঠে নেমে পড়েছেন। ওনারা হয়তো স্বপ্ন দেখছেন আরেফিন সিদ্দিককে সরাতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ক্যাম্পাস দিয়ে একটি নাড়া দেয়া যাবে।
আপনাদের ভুলে যাওয়ার কথা না, সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না এই ক্যাম্পাসেই ২/৩টি লাশ ফেলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিলেন। টেলিফোনে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে বলেছিলেন, ক্যাম্পাসে কয়েকটি লাশ ফেলতে পারলেই বাকি কাজটুকু ওনারা করবেন। এই লাশ ফেলার জন্যই হয়তো আরেফিন স্যারকে সরানো ওনাদের জন্য জরুরি। ভুলে গেলে হবে না, আরেফিন সিদ্দিক স্যার’রা ক্ষণজন্মা। যুগে যুগেও জন্মায় না। আজ পর্যন্ত ওনার বিরুদ্ধে তাঁর চরম শত্রুরাও কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ আনতে পারেননি।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব