মেহেদী হাসান :

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা থামছে না; বরং নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। দেশে বিরাজমান বিভিন্ন ইস্যু ছাপিয়ে সব আলোচনা এখন কেন্দ্রীভূত হয়েছে এই রায় নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, বিতর্ক ও পাল্টা বিতর্কে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) রায় নিয়ে রাজনীতি না করার কথা বললেও এই রায়কে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনও। সরকারি দল থেকেও কেউ কেউ বলছেন, এ রায় বিএনপিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।

এ দিকে অনেকের মতে নানা কারণে এ রায় তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে এর রেশ কতদূর গড়াবে তা এখনই বলা যায় না।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় এবং রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে যে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি গত বুধবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। রায় নিয়ে তার বক্তব্যে বিভিন্ন মহল থেকে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, অতীতে সাবেক কোনো প্রধান বিচারপতি এভাবে কোনো রায় নিয়ে সমালোচনা করেছেন বলে তাদের জানা নেই।

অনেক দিন পর সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক আবার সংবাদ শিরোনাম হলেন এই বক্তব্যের কারণে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং সামনে চলে এসেছে অতীতে তারই দেয়া বিভিন্ন রায়ের প্রসঙ্গ।

সরকারি একটি লাভজনক পদে থেকে সরকারের বেতন ভোগ করে তিনি এভাবে রায়ের সমালোচনা করতে পারেন কি না, তিনি যে পদে আছেন সে পদের দায়িত্বের মধ্যে এটি পড়ে কি না এসব বিষয় এখন আলোচনায় এসেছে। কারণ এ বি এম খায়রুল হক নিজের রায়েই বলেছিলেন, অবসর গ্রহণের পর কোনো বিচারপতি প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ গ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু তিনি নিজেই এখন একটি লাভজনক পদে রয়েছেন।

এ বি এম খায়রুল হক ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, এতে অতি মাত্রায় অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা হয়েছে যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এ রায় পূর্বপরিকল্পিত। তার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে অনেকে টেনে এনেছেন মুন সিনেমা হলের রায় দিতে গিয়ে তিনি কিভাবে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছিলেন সে বিষয়টি।

অনেকে বলেছেন, এ বি এম খায়রুল হকের সর্বশেষ বক্তব্যের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে অতীতে তার দেয়া বিভিন্ন রায়ের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে তার বক্তব্য বিষয়ে কেউ কেউ বলছেন, তিনি কোনো একটি মহলের হয়ে কথা বলছেন এবং তার বক্তব্য রাজনৈতিক। এ ছাড়া এ বি এম খায়রুল হক তার সর্বশেষ বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের রায়কেও বিতর্কিত করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক কয়েকটি রায়ের কারণে তীব্রভাবে আলোচিত সমালোচিত এবং বিতর্কিত। বিশেষ করে সংবিধানে মার্শাল ল অন্তর্ভুক্ত করে আনা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তিনি অনেক বিতর্কিত।

অনেকের মতে, দেশে দীর্ঘকাল ধরে চলা রাজনৈতিক সঙ্কট ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিস্থিতির মূলে রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া এ বি এম খায়রুল হকের রায়। সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক রায়ে অন্তত আরো দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে বলা হলেও অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পরে লিখিত বিস্তারিত রায়ে সে বিষয়টি একেবারে তুলে দেয়ার কারণেও খায়রুল হকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
সাবেক আইনমন্ত্রী ও দেশের বিশিষ্ট আইনবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে যা বলেছেন, তাতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি একজন দলীয় লোক। তিনি বলেন, খায়রুল হক রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সরকারি বেতনভোগী হয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজে প্রথমত আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সমালোচনা করে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তথা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, তা ভয়ানকভাবে আদালত অবমাননার শামিল। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। তিনি বলেছেন, এ রায় পূর্ব-পরিকল্পিত, পূর্ব-ধারণাপ্রসূত। রায় এবং শুনানি সবই নাকি আগে থেকে ঠিক করা ছিল। তা ছাড়া সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদেরও তিনি অপরিপক্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তারা নিরপেক্ষ না-ও হতে পারেন। সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি হয়ে তিনি তার উত্তরসূরি প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মাধ্যমে তিনি সরাসরি আদালতের মর্যাদা নষ্ট করেছেন। এটা স্পষ্ট আদালত অবমাননার শামিল।

মওদুদ আহমদ বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণকে তিনি অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক বলে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন, কিন্তু খায়রুল হক নিজে পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় দিলেন কিসের ওপর ভিত্তি করে। সেটা তো ছিল মুন সিনেমা হল প্রসঙ্গে একটি মামলা। মুন সিনেমা হল নিয়ে মামলায় তিনি তখন কিভাবে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান ছিল সেটি তিনি বাতিল করে বললেন আরো দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চলতে পারে। কিন্তু তিনি যখন এ রায় লিখলেন সেখানে লিখিত রায়ে তিনি এ দুই টার্মের কথা তুলে দিলেন। এর মাধ্যমে তিনি জুডিশিয়াল ক্রাইম (বিচারিক অপরাধ) করেছেন।

ড. শাহদিন মালিক
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শাহদিন মালিক এ প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, রায় নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যা বলেছেন, তাতে অহেতুক বিতর্ক উসকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতি এভাবে কোনো রায় নিয়ে সমালোচনা করেছেন বলে আমার মনে পড়ে না। অলিখিত কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সব ক্ষেত্রেই। সাবেক প্রধান বিচারপতি অযাচিতভাবে সেটা ভঙ্গ করেছেন।

শাহদিন মালিক বলেন, একটি রায়ের দুইটি অংশ থাকে। অবিতার ডিকটা বা প্রাসঙ্গিক দিক এবং রেশিও ডিফেনডেনডি বা মূল বিষয়। এ জন্যই রায়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি রায়ে প্রাসঙ্গিক দিক থাকতেই পারে। এই রায়েও সেটা রয়েছে। সেটা কারোর পছন্দ হয়েছে কারোর হয়নি।

এ দিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র নেতিবাচক সমালোচনা চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বিচারপতি খায়রুল হক আবার মুখ খুলেছেন। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়ে তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে কটা করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার অভিযোগ বর্তমান প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনী মামলায় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ তিনি নিজে তার বিভিন্ন রায়ে বহু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেছেন, বহু রাজনৈতিক বিষয়ে অযাচিত বক্তব্য দিয়েছেন।

ষোড়শ সংশোধনী মামলায় আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতি সর্বসম্মতিতে রায় দিয়েছেন। এ রায়কে বিচারপতি খায়রুল হক পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক বলেছেন। এত বড় আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি কিভাবে দিলেন?

সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলেছেন, মুন সিনেমা হলের মালিকানার মামলায় কোন প্রসঙ্গে তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছিলেন?

একটি সিনেমা হলের মালিকানা নির্ধারণ করতে গিয়ে তিনি পুরো সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছিলেন। আজ কেন তবে তিনি এমন নির্দয় তীর ছুড়ছেন তার উত্তরসূরির বিরুদ্ধে?

আরেক আইনজীবী খায়রুল হকের উদ্দেশে লিখেছেন, শেষ পর্যন্ত আপনি নিজেই প্রমাণ করে দিলেন, কার স্বার্থে আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিলেন। এখন আবার নতুন করে সরকারি দলের হয়ে ….আবির্ভূত হতে চাচ্ছেন? আশ্চর্য, আপনি যে বিচারালয়ের প্রধান বিচারপতি ছিলেন সেই আদালতকে কী করে অবমাননা করতে পারলেন?

অনেকের মতে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক সংবাদ সম্মেলন করে যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তা অপ্রত্যাশিত এবং অতিমাত্রায় রাজনৈতিক। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ের সমালোচনার কাজটি আইন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি না সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

আইন কমিশন আইন, ১৯৯৬-এর ৬ নম্বর ধারায় কমিশনের কার্যাবলীর যে তালিকা দেয়া আছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা অন্তর্ভুক্ত নেই।

কেউ কেউ বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পর্কে নাগরিক হিসেবে মতপ্রকাশের অধিকার হিসেবে কথা অবশ্য তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের একটি লাভজনক পদে আসীন এবং সেই দফতরের স্থাপনা এবং সুবিধা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ করতে পারেন না। তার নিজের রায়েই বলা আছে যে, অবসর গ্রহণের পর বিচারপতি প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ গ্রহণ করতে পারেন না। আইন কমিশনের চাকরির কারণে সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে তার অভ্যস্ত হয়ে ওঠা প্রশংসনীয়। তবে বিচারপতিদেরও সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে, এমন দাবি করার আগে তিনি নিজের লেখা রায়গুলো একবার পড়ে নিলে ভালো করতেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। এ রায়ের কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা রয়েছে। রায়ে সাত সদস্যের বেঞ্চের তিনজন বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। এ রায় নিয়ে দ্বিতীয়বার তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয় ঘোষিত রায় এবং লিখিত রায়ের আদেশের মধ্যে অমিলের কারণে। ঘোষিত প্রাথমিক রায়ে অন্তত আরো দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের কথা থাকলেও অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পরে লিখিত রায়ে সে বিষয়টি একেবারেই তুলে দেন তিনি। অনেকের মতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে জটিল এবং অস্থির করার পেছনে ভূমিকা পালন করেছে এ বি এম খায়রুল হকের এ রায়।

গত বুধবার আইন কমিশন কার্যালয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর জনগণের প্রজাতন্ত্র নয়; বরং এটা বিচারকদের প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে দেয়া ওই রায় ছিল পূর্ব ধারণাপ্রসূত ও আগে থেকে চিন্তাভাবনার ফসল। এ রায় অগণতান্ত্রিক। রায়ে ইস্যু এড়িয়ে এত অত্যধিক পর্যবেণ রয়েছে যে আমার মনে হয়েছে, মূল ইস্যুটাই হারিয়ে গেছে। এর প্রয়োজন ছিল না।

বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, ওনাদের ধারণা বিচারকদের অপসারণের মতা সংসদের কাছে দেয়া হলে মতার অপব্যবহার হতে পারে। কিন্তু এটা একটা ধারণা মাত্র। আমাদেরও তো ধারণা হতে পারে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলেও ঘাটতি থাকতে পারে। এটা নিরপে না-ও থাকতে পারে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn