পর্তুগালে সড়কদুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের যুবক নিহত
পর্তুগালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আতিক-উর-রহমান (২১) নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আতিক মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে। ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে পর্তুগালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোর রাতে তার গ্রামের বাড়িতে খবরটি আসার পর পরিবারে শোকের মাতম শুরু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আতিক শমশেরনগরের আব্দুল মছব্বির একাডেমি থেকে এসএসসি পাশ করে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১৫ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছিল। গত ৭/৮ মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে তিনি পর্তুগাল চলে যান। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেন। মঙ্গলবার তার কয়েকজন সঙ্গীসহ একটি মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে এসে একটি কার তাদের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি উল্টে যায়। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় আতিককে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাইক্রোবাসের বাকী যাত্রীরা কিছুটা আহত হলেও গুরুতর কিছু হয়নি।
এদিকে, ১৬ আগস্ট (বুধবার) বড়চেগ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আতিকের বাসায় স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। আতিকের বাবা আব্দুল জলিল জানান, তিন ছেলের মধ্যে আতিক ছিল সবার ছোট। বড় ছেলে আব্দুল মোক্তাদির (৩২) সৌদি আরবে আছে। দ্বিতীয় ছেলে রহমান সজিব (২৪) ব্রাজিলে আছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, দুই দিন আগে বাড়িতে রেখে যাওয়া তার শখের কিছু জিনিস পর্তুগালে পাঠাই। তার আগেই আতিক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল।
আব্দুল জলিল জানান, যুক্তরাজ্যে তার এক ভাই (আতিকের চাচা) আছেন। তিনি ঘটনার খবর পেয়ে বুধবারই যুক্তরাজ্য থেকে পর্তুগাল চলে গেছেন। তিনি সেখানে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।