প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে এখনো জমেনি কোরবানীর পশুর হাট
জগন্নাথপুরে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট জমে উঠলেও তুলনা মূলকভাবে দাম অনেক কম থাকলেও পর পর কয়েকবার হাওরের ফসল হারিয়ে ও সাম্প্রতিক বন্যায় মানুষ এমনিতেই রয়েছে বিভিন্ন সমস্যায়। অন্যদিকে ইউরো ও পাউন্ডের দর পতনে প্রবাসীরা আগের মত আত্মীয়-স্বজনদের টাকা দিতে পারছেন না। সবকিছু মিলে একটা মন্দাভাব বিরাজ করছে। এর একটা প্রভাব পড়েছে আসন্ন কোরবানীর ঈদে। তাই কোরবানীর পশুর হাট এখনও জমে উঠেনি। মানুষের মধ্যে অভাব এবং প্রবাসী স্বজনরা টাকা না পাঠানোর কারণে অনেকেই গরু কিনতে পারছেন না।ইতোমধ্যে উপজেলার সুপরিচিত জগন্নাথপুর, রসুলগঞ্জ, রাণীগঞ্জ সহ বিভিন্ন বাজারে পশুর হাট জমে উঠছে। সোমবার উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজার ও জগন্নাথপুর পৌর শহরের হেলিপ্যাড মাঠে পশুর হাট বসে। সরজমিনে দেখা যায়, হাটে দেশীয় গরুর সংখ্যা অনেক বেশি থাকলেও তুলনা মূলক ক্রেতাদের উপস্থিতি কম।
এ সময় হাটের ইজারাদার আনিছ আলী বাবুর্র্চি ও বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে জানান, গত বছরের তুলনায় জগন্নাথপুরে এবার গরুর দাম অনেক কম। এরপরও ক্রেতারা কিনছেন না। শুধু দামদর করে চলে যাচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, এবার বন্যায় জগন্নাথপুরের ফসল হানির প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে। এছাড়া চলমান বন্যার কারণে মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়ায় তাদের বাড়ির গরু গো-খাদ্যের অভাবে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসছেন। সে জন্য বাজারে গরুর আমদানি বেশি হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামীতে বেচাকেনা বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।
এসময় পশুর হাটে আসা ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে জানান, গত বছরের তুলনায় দাম তেমন একটা ব্যবধান নয়। তবুও দাম কিছুটা কমে পাওয়া গেলেও অর্থাভাবের কারণে কেনা যাচ্ছে না। একের পর এক দূর্যোগের কারণে এবং প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অনেকে এখনো টাকা পাঠাননি। যে কারণে গরু কিনা যাচ্ছে না। তবে ক্রেতারা আশা করেন আগামীতে গরুর দাম আরো কমলে তারা কিনবেন।