হার্ডলাইনে আ. লীগ, দলের বাইরে সিদ্ধান্ত নিলেই বহিষ্কার
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে তিন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, কেবল নির্বাচন নয় দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেই বহিষ্কারের মতো শাস্তি নেমে আসবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক ভিত শক্ত করতেই এমন হার্ডলাইনে নেমেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
‘বিদ্রোহী’রা বহিষ্কার
আজ রোববারই আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ ও কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মোহাম্মদ সোহেলকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়। ওই তিনজনই স্থানীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই তিন উপজেলাতেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়ী হন। তিনটির মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৃতীয় হন। গত সপ্তাহেই তৃণমূলে যেন কোনো নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় এ ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সাত দিনের মধ্যেই কার্যনির্বাহী সংসদ ঢাকা ও সিলেট বিভাগের তিন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।
‘মাত্রা বুঝে ব্যবস্থা’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিযোগের গভীরতা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্ত সারা দেশেই অব্যাহত থাকবে।’
গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাঁরা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অপরাধের মাত্রা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘শুধু নির্বাচন নয়, দলের ঊর্ধ্বে উঠে যাঁরাই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তিস্বরূপ সাময়িক বহিষ্কারও হতে পারে, স্থায়ী বহিষ্কারও হতে পার। মনে রাখতে হবে, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
ওই তিন উপজেলায় যা হলো
বহিষ্কৃতদের মধ্যে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু। ওই নির্বাচনে জয়ী বিএনপি প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী পান ১৯ হাজার ৮৩৮ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আখতারুজ্জামান পান ১৭ হাজার ৮৬৫ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান পান ৯ হাজার ৮০৯ ভোট।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ। ওই নির্বাচনে জয়ী বিএনপির আতাউর রহমান পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯১৪ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের আকমল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৯৮ ভোট। বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তাদির পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬১৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দলের মতের বাইরে গিয়ে উপনির্বাচন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মোহাম্মদ সোহেল। ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। জয়ী বিএনপির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মবিন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩০২ ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল পান ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম নূরু ১৯ হাজার ২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
‘বিদ্রোহী’রা বহিষ্কার
আজ রোববারই আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ ও কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মোহাম্মদ সোহেলকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়। ওই তিনজনই স্থানীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই তিন উপজেলাতেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়ী হন। তিনটির মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৃতীয় হন। গত সপ্তাহেই তৃণমূলে যেন কোনো নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় এ ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সাত দিনের মধ্যেই কার্যনির্বাহী সংসদ ঢাকা ও সিলেট বিভাগের তিন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।
‘মাত্রা বুঝে ব্যবস্থা’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিযোগের গভীরতা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্ত সারা দেশেই অব্যাহত থাকবে।’
গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাঁরা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘অপরাধের মাত্রা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘শুধু নির্বাচন নয়, দলের ঊর্ধ্বে উঠে যাঁরাই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তিস্বরূপ সাময়িক বহিষ্কারও হতে পারে, স্থায়ী বহিষ্কারও হতে পার। মনে রাখতে হবে, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
ওই তিন উপজেলায় যা হলো
বহিষ্কৃতদের মধ্যে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু। ওই নির্বাচনে জয়ী বিএনপি প্রার্থী ময়নুল হক চৌধুরী পান ১৯ হাজার ৮৩৮ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আখতারুজ্জামান পান ১৭ হাজার ৮৬৫ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান পান ৯ হাজার ৮০৯ ভোট।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ। ওই নির্বাচনে জয়ী বিএনপির আতাউর রহমান পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯১৪ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের আকমল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৯৮ ভোট। বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তাদির পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬১৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দলের মতের বাইরে গিয়ে উপনির্বাচন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মোহাম্মদ সোহেল। ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। জয়ী বিএনপির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মবিন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩০২ ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল পান ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম নূরু ১৯ হাজার ২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।