ঢাকা : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জিততে ছক কষে পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। ক্লিন ইমেজের তরুণ, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে সক্রিয়, তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য এবং পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীকে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে গণভবনের একটি সূত্র।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, গত ১ বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থার মাঠ জরিপ এবং দলের পক্ষ থেকে জরিপে যেসব তরুণ প্রার্থীদের অবস্থান তৃণমূলে দৃঢ় ও সুসংহত তাদেরকেই সেই বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। সেখানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে বিশেষ কয়েকটি নির্দেশনা দিতে পারেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড মনে করছে, আগামী নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে যাওয়া এবং প্রার্থী হিসাবে নিজেদের প্রতি দলের সমর্থনের বিষয়টাই প্রাধান্য পাবে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান বিতর্কিত এবং বয়সজনিত কারণে প্রায় ৮০- ১০০ টি আসনে বিকল্প প্রার্থী দেখা যতে পারে। এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক তরুণ নেতা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ তরুণ নেতাদের অনেকেই এলাকায় ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী এ তরুণ নেতারা এমপিদের থেকে অনেকটা বেশি আলোচিত এবং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে তরুণ নেতাকর্মী ও ভোটারা তাদের দিকেই ঝুঁকছে বেশি। ফলে এসব আসনে বর্তমান এমপিরা অনেকটা বেকায়দায়। মনোনয়ন দৌঁড়ে বর্তমান প্রার্থীদের সামনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাড়িয়েছেন এসব তরুণ নেতারা। এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn