আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সংসদীয় ৪ আসনে আওয়ামলীগের দলীয় মনোনয়ন জিতে আবারো চমক দেখাতে পারেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক বারিষ্টার এম এনামূল কবীর ইমন। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্তাভাজন ব্যারিষ্টার ইমন মনোনয়ন দৌড়ে সবাইকে পিছনে পেলে যে চমক দেখিয়েছিলেন এবারো সুনামগঞ্জবাসী আসা করছেন ইমনই আবারও নৌকা প্রতীক পাবেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা কাজ করে যাচ্ছেন নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে। ব্যতিক্রম নেই সুনামগঞ্জ ৪( সুনামগঞ্জ সদর-বিশম্ভরপুর) আসনে। এ আসনে প্রার্থী হতে চান সাবেক সাংসদ , সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জের পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ এর জাতীয় পরিষদ সদস্য আয়ুব বখত জগলুল সুনামগঞ্জ থানা আওয়ামীলী যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আমীর হোসেন রেজা সহ রয়েছেন আরো কয়েকজন প্রার্থী । এ দের কেউকেউ বেশ কিছুদিন ধরে মাঠে সক্রিয়। কাজ করে যাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলের তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীর কাছে এবং জনসাধারণের কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমন। তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠ দের কাছেও খুব প্রিয়। এছাড়াও দলকে নিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর সৃজনশীল পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এমনটিই জানিয়েছে সূত্র। তথ্য প্রযুক্তিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যেসব কর্মসূচি সরকার নিয়েছে তার পেছনে রয়েছে তার বিশেষ ভূমিকা। আর এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দেশের তরুণ ও যুব সমাজের একটি বিরাট অংশের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের রোল মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি, দুই দুইবারের প্রাক্তন নির্বাচিত সাংসদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত আব্দুর রইছ এর ছেলে। যাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু গর্ব করে বলেছিলেন আব্দুর রইছের মত সব এমপি থাকলে সোনার বাংলা গড়ে ফেলতাম।

তার মাতা প্রয়াত রফিকা রইছ চৌধুরী সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ এর আমৃত্যু সভানেত্রী বিশিষ্ট সমাজসেবিকা, সুনামগঞ্জের নারী উন্নয়নের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছেন। ব্যারিস্টার এম.এনামুল কবির ইমন পেশায় একজন সুপ্রিমকোর্ট এর অইনজীবী । তার সহধর্মিণী ব্যারিস্টার ড. ফারজানা কবির শীলা ও সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী । ব্যারিস্টার ইমন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সহকারী এটর্নী জেনারেল এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন। পাওয়ারগ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর পরিচালক। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ টু আই (ডিজিটাল বাংলাদেশ) এর আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ছিলেন । যার মেধাবী নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলায় প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়নে, ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে বিপুল ভোটে বার্ষিকী সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পড়াশুনা করার জন্য তিনি যুক্তরাজ্য অবস্থান করা অবস্থায় শেখ হাসিনার নির্দেশে যুক্তরাজ্যে ও যুবলীগ কে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি সুনামগঞ্জের যুবসমাজের যুবতারকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সর্বশেষ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বভার অর্পন করেন। আগামীতে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ তরুণ নেতৃত্ব আনার চিন্তা- ভাবনা করছেন তিনি। দলকেও তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করে তুলতে ইতোমধ্যেই অনেক কাজ শুরু করেছেন।

তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নির্দেশে সুনামগঞ্জ ৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়েছিলেন। তৎকালীন দলীয় সাংসদ ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান কে বাদ দিয়ে দলীয় সভানেত্রী মনোনয়ন দেন ব্যারিস্টার ইমনকে । জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছাড় দিতে গেলে তখন দলীয় হাইকমান্ড ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিনি । পরে পুনরায় তাকে জেলা পরিষদের প্রশাসক মনোনীত করা হয়েছিল তাকে। তবে সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও জনসাধারণের ধারনা যেহেতু তৎকালীন দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে বাদ দিয়ে যখন নেত্রী যুবনেতা ব্যারিস্টার ইমনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন সেহেতু এবারও দলীয় প্রতিক নৌকা তার কপালেই জুটবে মনে করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগনেতা বলেন, ব্যারিস্টার ইমন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ সবসময় মান্য করে আসছেন। আর যারা প্রার্থী হতে চাচ্ছেন তারা বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবং সুনামগঞ্জ ২ আসনের উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করেছেন। আমার ধারনামতে নেত্রীর এসব সকল তথ্য সংগ্রহে আছে। অতএব শেষপর্যন্ত ব্যারিস্টার ইমন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে মনোনয়ন তিনিই পাবেন ধারণা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn