জেলার অভয়নগরে ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।চলতি বছরে হস্তান্তর সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অভয়নগর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব সেতুর এপারে প্রেমবাগ, সুন্দলী, চলিশিয়া, পায়রা ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌরসভা। অপর পাড়ে ভৈরব উত্তর জনপদে শ্রীধরপুর, বাঘুটিয়া, শুভরাড়া ও সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নসহ মোট ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সমন্বয়ে অভয়নগর উপজেলা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে উপজেলার এপারের ৪ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটলেও ভৈরব উত্তর জনপদে তুলনামূলক তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। যে কারণে ভৈরব উত্তর জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি বা স্বপ্ন ছিল ভৈরব নদের উপর একটি সেতু।

দীর্ঘ দিনের চাওয়া-পাওয়ার অবসান ঘটিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছায় ভৈরব নদের উপর স্বপ্নের সেতু নির্মাণ চুক্তি হয়। তবে দাপ্তরিক জটিলতার কারণে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে স্বপ্নের ভৈরব সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। মোট ৭৮ কোটি ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭’শ ৩ মিটার দৈর্ঘ এবং ৮ মিটার প্রস্থে, ৩০ মাসের চুক্তিতে ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রজেক্টের কাজ পায় ম্যাক্স গ্রুপ নামের একটি সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এলজিইডি এর সহকারী প্রকৌশলী এস এম জাকারিয়া জানান, চলতি বছরের জুন মাসে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সরকারের নিকট হস্তান্তর করার কথা থাকলেও বিলম্বে কাজ শুরুর কারণে এ বছরের অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। আর এ হস্তান্তরের পর সেতুর উপর জনগণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অদ্যাবধি নির্মাণ কাজের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ১৬ টি পিলারের মধ্যে ১৩ টি নির্মিত হয়েছে। এছাড়া পিলারের উপরের ১৬ টি স্ল্যাব (স্প্যান) এর মধ্যে এপারে ১০ টি ও ওপারে ৪ টি স্থাপন করা হয়েছে। বাকি আছে নদের মধ্যের ২টি। ভৈরব নদের মাঝ বরাবর দু’টি পিলার নির্মাণের জন্য দ্রুতগতীতে পাইলিং এর কাজ চলছে। সেতু সংলগ্ন স্থানীয় মশরহাটী গ্রামের কয়েকজন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পূর্বের তুলনায় এখন শ্রমিক বৃদ্ধি করে কাজের গতি বাড়িয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn