মেয়ে ডেকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ: আসামির বিচার শুরু
খুলনার এক কলেজ ছাত্রীকে মেয়ে ডেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ধর্ষণের মামলায় এনামুল হক টিটোর (৫০) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সূচনা বক্তব্য উপস্থানের জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি মামলার দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। ফলে এই মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।সোমবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের এই আদেশ দেন।আদালতে কলেজ ছাত্রীর পক্ষে উপস্থিত থেকে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অলকানন্দা দাস, আইনজীবী আব্দুল আলিম। এছাড়া ব্লাষ্ট থেকে ছাত্রীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী অশোক কুমার সাহা। অন্যদিকে আসামি টিটোর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মশিউর রহমান।
এর আগে গত ২৬ জুলাই আসামিকে জামিন দেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের সাবেক বিচারক শহিদুল ইসলাম। জামিনের পর থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ মিলেছে।মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, খুলনার একটি বেসরকারী কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে এনামুল হক টিটোকে (৫০)পুলিশ গ্রেফতার করে। ধর্ষক টিটো নগরীর মৌলভীপাড়া সুলতান আহমেদ রোডের বাসিন্দা।
টিটোর সাথে ইজিবাইকে বসে কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর ‘আমার মেয়ে নেই তুমি আমার মেয়ের মত’ অজুহাত দেখিয়ে মেয়েটিকে মা বলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় টিটো। এভাবে পরিচয়ের আরো কিছুদিন পর নিজ ওষুধের দোকানে চায়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় ওই ছাত্রীকে। এরপর প্রায় অচেতন অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রীকে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজের ৯নং রোডের ২৭২ এর ‘ক’ নং ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় টিটো।
সেখানে কলেজ ছাত্রীকে ফের কোমল পানীয়র সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে টিটো। এ ঘটনার পর থেকেই মামলা না করার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে কলেজ ছাত্রীকে ভয় দেখায় টিটো। এমনকি মামলা না করতে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী ও তার মা-বাবা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর গত ১৫ মার্চ দুপুরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে টিটোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টিটো দীর্ঘদিন ধরে সুইডেনে বসবাস করতেন। বর্তমানে তার পরিবার পরিজন সুইডেনেই রয়েছে।