প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চক্রান্তের একটি গল্প
নঈম নিজাম-
আমাদের চারপাশে অনেক কিছু হয়ে যায়। মাঠে কর্মরত একজন সাংবাদিক কি তার দেখা সব খবর প্রকাশ করতে পারেন? রিপোর্টার হিসেবে রাজনীতির অন্দরমহলে আমার যাতায়াত ছিল এক সময়।খবর বের করে আনতাম ভিতর থেকে। সংসদ, সচিবালয় আর রাজনীতির খবরের পেছনে ছুটতাম। ৯৩ সালে জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক— আমার লেখা খবরটি ছাপা হয় ভোরের কাগজে। তখন সবার ধারণা ছিল আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ অথবা আবদুল জলিল হবেন সাধারণ সম্পাদক। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মধ্যরাতে কমিটি ঘোষণার আগেই ভোরের কাগজে প্রকাশ হয়— শেখ হাসিনা সভানেত্রী, জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক। অনেক দিন পর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আবার প্রকাশ করি ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন। কাউন্সিলের তিন দিন আগে এ খবরে খুশি হতে পারেননি আমাদের অনেক সাংবাদিক বন্ধু। অনেক সিনিয়র সাংবাদিকও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন সামাজিক গণমাধ্যমে।
কিন্তু আমার অবস্থান থেকে সরিনি আমি। আমার কনফিডেন্স একান্ত নিজস্ব। সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে ছিলাম, আছি। বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলাম। এখন পত্রিকার সম্পাদক, টেলিভিশন-রেডিওর প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু মনের ভিতরে সব সময় একজন রিপোর্টার বাস করে। তাকে আড়াল করতে পারি না। কারণ আগাম খবর প্রকাশে একটা আনন্দ থাকে। দায়িত্ব যাই হোক না কেন।
তারপরও সব খবর সব সময় কি প্রকাশ করি? অনেক সময় রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থ আমাদের সামনে আসে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা রাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে থাকেন। আফগান ইরাক যুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়ার ভূমিকা আমরা দেখেছি। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকরা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য কলম যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। এবার মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের মিডিয়া ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। মিডিয়া প্রমাণ করছে দেশ ও জাতির স্বার্থে কেউ দ্বিতীয় চিন্তা রাখেন না। এর মাঝে কিছু নেতিবাচক চিন্তার মানুষের কথা আলাদা। এ ধরনের মানুষ সব দেশে আছে। যে কথা বলার জন্য এত উপমা সেই খবরটির জন্ম কলকাতায়। প্রথম প্রকাশ মিয়ানমারের একটি অনলাইনে। এরপর ভারতের আরেকটি মিডিয়াতে। যিনি লিখলেন তিনি একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক। এক সময় বিবিসিতে কাজ করেছেন। এ খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা কেন এমন একটি খবর প্রকাশ করলেন না? আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশ চক্রান্তের খবর বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক জানলেন না।
অথচ সবার আগে জানলেন একজন ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি খবরটি প্রথমে প্রকাশ করলেন মিয়ানমারে। খবর সত্য হলে তিনি বিবিসিতে কেন পাঠালেন না? রহস্য কী? তিনি দীর্ঘদিন বিবিসিতে কাজ করেছেন। আর মিয়ানমারের বর্বর তৎপরতার সময় এমন একটি খবর তাদের দেশের অনলাইনে নয় কেন? ভারতীয় মেইনস্ট্রিম কাগজগুলোতেও নেই। মিয়ানমারে খবরটি প্রকাশের কারণে শুরুতেই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে। এর মাঝে একজন মন্ত্রীকে মিডিয়ার লোকজন প্রশ্ন করলেন, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? তিনি জবাব দিলেন এ ধরনের চক্রান্ত অতীতে বিএনপি-জামায়াত অনেক করেছে। আরে ভাই অতীত বাদ দিন। অতীতে শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা চক্রান্তের খবর সবাই জানেন। বর্তমান নিয়ে কথা বলুন। এখন বিএনপি-জামায়াত নয়, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, এমন খবর বিদেশি কোনো মিডিয়াতে আসার পরই সরকারের ব্রিফিং দরকার ছিল তখনই। প্রথমত, খবরটি ভুল হলে তাত্ক্ষণিক মিডিয়াকে জানানো দরকার ছিল, এর কোনো ভিত্তি নেই। আর ভুল না হলেও বলা দরকার ছিল এ চক্রান্তের চেষ্টা সরকার নস্যাৎ করে দিয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা হলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসত। ফিসফাঁস আওয়াজ হতো না জনমনে আর সামাজিক গণমাধ্যমে। সবারই মনে রাখা দরকার শেখ হাসিনা শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা। বিশ্বের বুকে তিনি এক নতুন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন। আমি মাহাথির-লি কুয়ানের সঙ্গে তুলনা করব না। আমি বলব, শেখ হাসিনা শেখ হাসিনাই। তিনি বিশ্বের কাছে নতুন উদাহরণ। বাংলাদেশের অস্তিত্ব তার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই তার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে হেলাফেলার অবকাশ থাকা উচিত নয়। এ খবর নিয়েও লুকোচুরির কিছু নেই।
আমি আবার বলছি, হঠাৎ এমন খবরটি কোন সূত্রের বরাতে লেখা হলো তা পরিষ্কার নয়। সাংবাদিক দাবি করছেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভিত্তিতে তিনি করেছেন। আমার প্রশ্ন, কলকাতার খবর মিয়ানমারে কেন প্রকাশ হবে? অন্য সময় হলে প্রশ্ন করতাম না। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকলেও সার্বিক বন্ধনটুকু প্রশ্নবিদ্ধ। শুধু বাংলাদেশ কেন বিশ্বের সব দেশের কাছে মিয়ানমার এখন একটি বিতর্কিত রাষ্ট্র। সারা দুনিয়ার মানুষ মনে করে বার্মিজরা বর্বর-নিষ্ঠুর। গত কয়েক দিন আগে ঢাকা সফররত চার ব্রিটিশ এমপির সঙ্গে কথা হয় আমার। কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরোয়ার হোসেন আমাকে আমন্ত্রণ জানান একটি ডিনারে। সেখানে কথা হয় ব্রিটিশ এমপি এ্যানির সঙ্গে। আমি তার কাছে জানতে চাই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন তুমি কি সেখানে গিয়েছ? আমি বললাম, না যাইনি। আমার সাংবাদিকরা সেখানে অবস্থান করছেন। ওদের একজন রামিম হাসানকে আমি ডাকছি তোমার সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আমি রিপোর্টারদের কাছে শুনেছি, ভয়ঙ্কর সব খবর। ব্রিটিশ এই নারী এমপি বললেন, না গেলে, না দেখলে বুঝবে না।
এভাবে নারী ও শিশুদের ওপর কেউ নির্যাতন করতে পারে? ওরা নারীদের ধর্ষণ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। শিশুদের ছুড়ে মারছে আগুনে। পাশে বসা ব্রিটিশ আরেক এমপি মাথা নাড়ছিলেন। এ্যানি আবেগ আপ্লুত। তার চোখে অশ্রু। অঝরে কাঁদছেন আর বলছেন, এটা হতে পারে না। এভাবে নারী-শিশু হত্যা কেউ কোনো দিন দেখেনি। আমিও আপ্লুত হয়ে পড়ি। অশ্রু ধরে রাখা কঠিন। এই ব্রিটিশ এমপি পরে আমাদের রিপোর্টারকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অঝরে কাঁদলেন।
শুধু একজন ব্রিটিশ এমপি নন, আজ সারা দুনিয়ার মানুষ কাঁদছে। মগদের নিষ্ঠুরতার কথা আমরা আগেও শুনেছি। এখন দেখছি। আমাদের অঞ্চলের মায়েরা আগের দিনে সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর জন্য বলতেন মগ ডাকাতরা আসছে। খোকা ঘুমাও…। মগরা ডাকাতই রয়ে গেল। মানুষ আর হলো না। আর ডাকাতদের নেতা মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। নেত্রীর নাম অং সান সু চি। তিনি আবার নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত নেত্রী! এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বর মানুষের যদি বিচার হয় এই ডাকাতদের বিচার কেন হবে না? বিশ্বজনমতকে সেদিকেই নিয়ে যেতে হবে। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের নয়।
এ সমস্যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ। আমরা ঘটনার শিকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা মানবতাবোধ থেকে করেছেন। বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ রাখলে, বর্ডার গার্ড শক্ত অবস্থান অব্যাহত রাখলে এ মানুষগুলোর অবস্থা কী হতো? এই রোহিঙ্গারা একটা সময় মিয়ানমারে উচ্চ অবস্থানে ছিলেন। মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর একজন মুসলমান নেতা আবদুর রাজ্জাক শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নিষ্ঠুর মগ সেনারা সু চির বাবার সঙ্গে রাজ্জাককেও হত্যা করেন। আজ রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণসহ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিষ্ঠুর কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরছেন। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পরই মিয়ানমারের অনলাইনে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর প্রচার হলে প্রশ্ন তৈরি হবেই। কারণ এখন চারদিকে তো আওয়ামী লীগে সয়লাব। এর মাঝে অতি আওয়ামী লীগারের সংখ্যাই বেশি।
আর সব কিছু বেশি বেশি দেখে মাঝে মাঝে আমার ভিতরেও নানা রকম আশঙ্কা-ভীতি কাজ করে। কারণ যেদিকে তাকাই শুধু আওয়ামী লীগ দেখি। আর এর মাঝে অতি আওয়ামী লীগেরও ছড়াছড়ি। অতীত আমরা দেখেছি। ’৭৫ সালের পরে যাব না। ’৯১ সালের ফলাফল বিপর্যয়ের পর অতি উৎসাহীরা সরে গিয়েছিল। ’৯৬ সালে আবার সব বদলে যায়। ২০০১ সালের পর সারা দেশে এক ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়। মামলা-হামলায় আওয়ামী লীগ বিপর্যস্ত। সেই সময় সুবিধাভোগীরা পালিয়েছিলেন। যেভাবে তাদের পাওয়া যায়নি ১৫ আগস্টের পর। ২০১৪ সালের পর পর নতুন নতুন আওয়ামী লীগের সংখ্যা বাড়ছে। আগে শুনতাম অমুক কর্মকর্তা এই দলের সমর্থক। এখন শুনি তিনি আওয়ামী লীগ। অথবা বিএনপি। কিছুদিন আগে এক পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, আমি আওয়ামী লীগ। আমাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি চলবে না।
আপনার পত্রিকার রিপোর্টারকে বলেছিলাম, আমাকে না দেখিয়ে রিপোর্ট না দিতে। সে দিয়েছে তাই মামলা করে দিয়েছি। আমি বললাম, আপনাকে আওয়ামী লীগ হতে বলেছে কে? রিপোর্টার রিপোর্ট দেখাবেন বার্তা সম্পাদককে, আপনাকে কেন? এবার তিনি বললেন, আমি অমুকের ভায়রা। আপনি আমাদের নিয়ে খবর বন্ধ না করলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে যাব। বিস্মিত হলাম, এসপি লেবেলের একজন কর্মকর্তার কথা শুনে। সিভিল প্রশাসনেও এমন কর্মকর্তার ছড়াছড়ি। অমুক ডিসি অমুক মন্ত্রীর আত্মীয়। তাই অন্য মন্ত্রী-এমপিদের পাত্তা দেন না। অথবা অমুক বিশেষ গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই তিনি যা বোঝেন তাই করেন। কারণ সবার লেবাস আওয়ামী লীগ। সরকারি কর্মকর্তাদের এত দলবাজি না করলে কি চলে না? তারা সরকারের দায়িত্বপূর্ণ কাজটি করলেই চলে। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক আদালতের ভুয়া রায় নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাতিল করলেন ভোট। তার জেলার মন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক। তাকেও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করেননি। কারণ ডিসি সাহেব অতি আওয়ামী লীগ।
আগে সরকারি কর্মকর্তা হোন। অবিচলভাবে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করুন। তাতেই সরকারের স্বাভাবিকতা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। দেশ ভালো থাকবে। আর তা না করলেই সমস্যা তৈরি হবে। ভয়ঙ্কর অবস্থা বাড়তে থাকবে। কুমিল্লার নির্বাচনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চেহারা বদল থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যতে অনেক খারাপ অবস্থায় পড়তে হবে। কারণ এক দিনের নোটিসে সরকারি কর্মকর্তাদের চেহারা বদলে গিয়েছিল ২০০১ সালে। আজ যাকে আপন মনে করছেন তিনি আপনার কতটা আপন তা বুঝবেন আপনি যখন বিপদে পড়বেন তখন। অন্য সময়ে নয়। সুসময়ে সবাই আপনার চারপাশে থাকবে। তেলবাজি করবে। খারাপ কিছু দেখলে কেটে পড়বে।
অতীত থেকে শিক্ষা নিন। বাস্তবতা বুঝে কথা বলুন। কারণ আমরা রাষ্ট্রের স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা চাই। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক অবস্থান অব্যাহত থাকুক এ প্রত্যাশাই সবার। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার নিরাপত্তা নিয়ে যে কোনো খবরই আতঙ্ক তৈরি করে। তারপরও গতকাল সকালে আমার বন্ধু সৈয়দ বোরহান কবীর ফোনে জানতে চান এ রিপোর্টটির ব্যাপারে আমার মতামত কী? আমি বললাম, ডাল মে কুচ কালা হায়। রিপোর্টটি ঠিক বা ঠিক নয় তা বলার দায়িত্ব সরকারের। তদন্ত করার দায়িত্ব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। তবে আমি মনে করি, এই মুহূর্তে এ ধরনের খবর মিয়ানমারে কেন প্রকাশ হবে? এর স্বাভাবিক অর্থ দাঁড়ায় কোনো মহল সব কিছু অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চায়। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে শেখ হাসিনা ইস্যুতে রূপান্তর করতে চায়। এ কারণেই হয়তো এমন খবর। যার বাস্তবভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ। অর্ধেক নয়, পুরোটাই গাঁজাখুরি। বোরহান একমত হলো আমার সঙ্গে।
সর্বশেষ: সকালে লেখাটি শেষ করেছিলাম। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে যথাসময়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য।এর আগে দলের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুও বলেছেন এ খবরের কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের ব্যাখ্যা জনমনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। যদিও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক তার অবস্থান থেকে সরেননি।
লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।