নিখোঁজ সরিষাবাড়ীর পৌর মেয়র শ্রীমঙ্গল থেকে উদ্ধার
ঢাকা থেকে নিখোঁজ জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও সরিষাবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান রুকনকে উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার দুপুর একটায় সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮ নম্বর কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম রোডের বাসা থেকে স্থানীয় পার্কে হাঁটতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। সঙ্গে থাকা তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায় বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ হন মেয়র রুকন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ১৩ মিনিটে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান যে, আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোমরা ধরে রাখবা। নিখোঁজের খবর সরিষাবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। সোমবার সন্ধ্যায় মেয়র রুকনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম টুকন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন (নম্বর-১৬১১)। তিনি বলেন, সরিষাবাড়ীতে রাজনীতি, পৌর নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তীতে নানা বিষয় নিয়ে তার অনেক শত্রু সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে রুকন নিখোঁজ হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। তিনি তার ভাইকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেয়র রুকন আরও উল্লেখ করেন, ‘তোমাদের ভালোবাসা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। তোমাদের ভালোবাসার কাছে মনে হয় আমি হেরে গেলাম bcoz আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। তারপরও বলতে চাই ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’ এই ভালোবাসা নিয়েই সবকিছু জয় করতে চাই এবং এই ভালোবাসা নিয়েই মরতে চাই। ’মেয়র রুকনের স্ত্রী কামরুন্নাহার জানান, ব্যবসায়িক ও অফিসের কাজে ঢাকায় গেলে মেয়র রুকন উত্তরায় ভাড়া নেওয়া ওই বাসায় থাকতেন। সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর বাসায় ফেরেননি।ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রুকন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।