শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক
‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্র্যাকের সাথে যৌথভাবে নিজেদের নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারণার সম্প্রসারণ ঘটাবে বলে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসাম্য দূরীকরণে ইন্টারনেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য হলেও এক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়ে গেছে। তাই আমাদের শিশু কিশোরদের জন্য ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ কর্মসূচি মূলত স্কুলগামী শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবে পাশাপাশি, এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে তাদের করণীয় এবং কি করা যাবে না সে সম্পর্কে জানানো হবে।গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে ৫শ’ স্কুলে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন প্রচারণার আয়োজন ও দায়িত্বশীলভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে গাইডবই বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে। ব্র্যাকের সহায়তায় এ বছর প্রতিষ্ঠানটি দেশের আরও আড়াইশ’ স্কুলে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে নিরাপদ ইন্টারনেট প্রচারণা নিয়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েছে। এর আগেও গ্রামীণফোনের নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে ব্র্যাক।এ নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘সবাই বিশেষত, শিশুরা যেনো তাদের হাতের কাছে থাকা প্রযুক্তির মধ্য থেকে সেরাটা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকে নিজেদের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন। নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে আমাদের কর্মসূচির চার বছর হল। আর নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার লক্ষ্য অর্জনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ও এর সুবিধা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজে অসমতা দূর করা সম্ভব।’
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তার অংশ হিসেবে অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করাকে নির্বাচন করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ। শিশুরা যাতে আত্মবিশ্বাসের সাথে ও দায়িত্ব নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ও এ মাধ্যমে যোগাযোগ করে এবং এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে এ উদ্যোগ।ব্র্যাকের স্ট্যাটেজি, কমিউনিকেশন ও এমপাওয়ারমেন্টের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘দায়িত্বশীলভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশু ও অবিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের সহযোগী হতে পেরে ব্র্যাক অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, দেশের ভবিষ্যতের নেতৃত্বদানকারীদের শিক্ষিত ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধভাবে করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর আমাদের যে লক্ষ্য, যৌথভাবে তা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।’সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ: মো: হাসান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-পিআর।