মালয়েশিয়ায় সিলেটি যুবক অপহরণ: গ্রেফতার ২
মুক্তিপনের দাবীতে সিলেটের ওসমানীনগরের হাফিজ মাসুক আহমদ নামের এক যুবককে পাচারকারীরা মালয়েশিয়া নিয়ে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসমানীনগর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুজনকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী হাওর কাঠালবাড়ীর খোরশেদ আলমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আবুল হাসান (২৫)।জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউপির আনোয়ারপুর গ্রামের কলিম উল্লাহ’র বড় ছেলে হাফিজ মাসুম আহমদকে ২লাখ টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া পাঠায় গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মালেশিয়া পৌঁছার পর থেকেই পাচারকারী অন্য সদস্যদের হাতে বন্দি অবস্থায় আছে মাসুম। তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ২লাখ ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদানের জন্য চাপ দিতে থাকে পাচারকারীচক্র।মুক্তিপণের টাকা গ্রেফতারকৃতদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য বলে তারা। বৃহস্পতিবার মাসুমের পিতা কলিম উল্যাহ বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ ১১ জনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামী গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।
মাসুমের বাবা কলিম উল্যাহ জানান, আমার ছেলে মাদ্রাসায় পড়াকালিন অবস্থায় হাসানের ভাই হোসাইনের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। বন্ধুত্বের সুবাধে হোসাইন আমার ছেলেকে জানায় তার মামাতো ভাই আল আমিন মালেশিয়ার থাকে। তার কাছে মালেশিয়া যাওয়ার ভাল কাজের একটি ভিসা আছে। ভিসার দর দুই লাখ টাকা। মালেশিয়া যাওয়ার আগে ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা আল আমিনকে দিতে হবে এবং বাকি টাকা পৌছার পর দেশে পরিশোধ করলে চলবে। কথা মত টাকা পরিশোধ করার পরও আমার ছেলে মালেশিয়ায় পৌঁছার পর থেকে তারা জিম্মি করে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে।মুক্তিপণের টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে নেয়।ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা মানবপাচারের অভিযোগে ২জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।