পরকীয়া : বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার বন্ধুটির নাম রিপন (৩০)। ঘটনার ১৪ ঘন্টা পর ঘাতক বন্ধু মঈন উদ্দীনসহ (৩১) ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রিপন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের মোতালেব সরকারের ছেলে। মঈন উদ্দীন নিহত রিপনের প্রতিবেশী ও সামসুদ্দিনের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মঈন উদ্দীন রিপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই মঈনদ্দীন মালোয়েশিয়া যাবার সময় তার বন্ধু রিপনকে তার স্ত্রী মৌসুমী এবং পরিবারের সকলকে দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়ে যায়। কিন্তু গত ৬ মাস আগে মঈন উদ্দীনের বাবা সামসুদ্দিন তার ছেলেকে জানায়, তার বন্ধু রিপনের সঙ্গে স্ত্রী মৌসুমী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বাবার মুখে তার স্ত্রী এবং বন্ধুর এমন পরকীয়া সম্পর্কের কথা শুনে মঈন উদ্দীন বিদেশ থেকে বেশ কয়েকবার রিপনকে হত্যার হুমকি দেয় । ৬ মাস আগে বাড়ি এসেও সে হত্যার হুমকি অব্যাহত রাখলে গ্রামের মন্ডল-মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে শালিস-দরবার করে উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায়।
কিন্তু মঈন উদ্দীন মনে মনে রিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। রবিবার দিন গত রাত ১২টার দিকে রিপন গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মঈন উদ্দীন রাস্তায় ওৎ পেতে থেকে রিপনের ঘাড়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে। এরপর তার লাশ রাস্তার ধারে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। সোমবার সকালে গ্রামবাসীরা রিপনের লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিপনে লাশ উদ্ধার করে।পুলিশ মঈন উদ্দীনের বাবা সামসুদ্দিন ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করলে মঈন উদ্দীন সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে জানায় রিপনকে সে নিজেই খুন করেছে। তার পরিবারের সদস্যদেরকে সে ছেড়ে দেওয়া কথা বলে। কিন্তু পুলিশ তার মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে এদিন বেলা আড়াইটার দিকে জীবননগর উপজেলা শহর থেকে মঈন উদ্দীনকে গ্রেফতার করে। মঈন উদ্দীন পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রী মৌসুমীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার কারণে সে রিপনকে খুন করেছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।