বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল। ডিপজলকে একেকজন একেকভাবে দেখেছেন। তার সম্পর্কে নানারকম কথাই প্রচলিত। ডিপজল এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। চিত্রনায়িকা রত্না ডিপজলের আরোগ্য কামনা করে একটি বড় লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। রত্না লিখছেন, ডিপজল মামা। আমার খুব পছন্দের মানুষ। সম্ভবত ২০১০ এ তার প্রযোজিত কাজের মানুষ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। আমি চলচ্চিত্রে যখন আসি তখন থেকেই তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। কিন্তু খুব ভয় হতো তাঁকে। তাঁর সামনেও যেতাম না কখনও। ২০০৯ সালে চিত্রনায়িকা মুনমুন আপু বললেন চল ডিপজল ভাইয়ের ওখানে যাই। আমাকে আপু বললো, গোটা চলচ্চিত্রে একজন ভালো মানুষ থাকলে তিনি। আর মুনমুন আপু কিছু বললে আমার কাছে ওটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। গেলাম ধারণা বা চিন্তার বিপরীত এক অন্য মহামানবকে দেখলাম। রত্না আরো বলেন, বাংলার কিছু মানুষের ডিপজল সম্পর্কে যে ধারণা। তা পাল্টে গেল নিমিষে। লাখো মানুষের ভরসা স্হল এই ডিপজল-এর ওপর আমিও ভরসা করতে লাগলাম। অর্থের ভরসা নয়। মানসিক শান্তির ভরসা। ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ফুলবাড়িয়াতে আসা যাওয়া জীবনের প্রতিটা দিন মনে হতো ঈদ। অনেক মানুষের সমাগম মামার আশেপাশে।
এই চিত্রনায়িকা বলেন, আমার তখন স্নাতক পরীক্ষা হঠাৎ বড় একটি গ্যাপ। তারপর একটি ছবির কাজে ফুলবাড়িয়া যাই গিয়ে দেখি খুব স্তব্ধ। থমকে যাই। মামাকে বার বার ফোন করি একবার ধরে। আমি পরিচয় দিলে বলে, বেয়াদব আয় উপরে। আমাকে উনি আদর করে বেয়াদব বলে ডাকেন। আমি গেলাম নিচ থেকে তার তিন তলা পর্যন্ত খাচায় বন্দী নানা জাতের পশু পাখি। আমি উনাকে বললাম একি অবস্হা মামা এসব কি? উত্তরে বললেন আমার বন্ধু। ওদের আমি ছেড়ে দিলে তবেই যাবে অন্যথায় বেঈমানী করবে না। আর মানুষ বেঈমান। ছেড়ে চলে যায়! বর্তমানে আইনজীবী রত্না বলেন, কথাটার সত্যি তাৎপর্য অনেক। আমি উত্তরে বললাম তাই বলে এভাবে সবাই কে দূরে ঠেলে দেবেন। উনি বললেন যার প্রয়োজন হয় দেখা করে যায় আমি না করিনা। আজ বলতে চাই মামা বাংলা চলচ্চিত্রে পর্দায় তথা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে আপনার প্রয়োজনের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। সুস্হ্য সবল হয়ে ফিরে আসুন আবার। শক্ত হাতে বাংলার হাল ধরুন। আমরা আপনার অপেক্ষায়। সবাই দোয়া করবেন উনার সুস্হ্যতার জন্য।