জগন্নাথপুরে মিয়াদের দাফন সম্পন্ন, স্বজনদের আহাজারি
সিলেটের টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ওমর আলী মিয়াদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) পৌনে পাঁচটার দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বালিশ্রী গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মিয়াদের জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুসহ কয়েক শ’ দলীয় নেতাকর্মী। জানাযার নামাজে ইমাম ছিলেন স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজ আব্দুল হাফিজ। জানাযার আগে মিয়াদের স্মৃতিচারন করেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু। তিনি খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বলেন, মিয়াদের মত একজন মেধাবী ছাত্রনেতা হারিয়ে আমরা আজ মর্মাহত। সে ছিল মুজিবাদর্শের অগ্রসৈনিক। যারা মিয়াদকে হত্যা করেছে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
নিহত মিয়াদের বাবা আকুল মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলের কী অপরাধ ছিল, যে তাকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হল। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তি চাই। মিয়াদের মা ডালিয়া বেগম ছেলের শোকে চিৎকার করে বার বার বলেন ‘আমার পুয়ারে (ছেলেরে) আনিয়া দেও, আমার পুয়ারে আনিয়া দেও’ ‘আমার পুয়ারে তোমরা কোয়াই লইয়া যাও’।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ওমর আহমদ মিয়াদ (২৬) নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মী। এতে আহত হয়েছেন আরও দুই কর্মী। মিয়াদ লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র। জগন্নাথপুর উপজেলার বালিশ্রী গ্রামের আকুল মিয়া ও ডালিয়া বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। মিয়াদসহ আকুল মিয়ার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে।