পেপ্যাল-জুম সার্ভিসের উদ্বোধন করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের সেবাদানকারী যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল। পেপ্যাল-জুম সার্ভিস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পেপ্যাল-জুম সার্ভিস উদ্বোধন ও ফ্রিল্যান্সার্স কনফারেন্স শীর্ষক সম্মেলনে বিশেষ সেবাটির উদ্বোধন করেন সরকারে তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা। উদ্বোধনী বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, পেপ্যাল চালুর মধ্যদিয়ে দেশের তরুণদের মেধা, নতুন নতুন চিন্তাধারা ও সৃজনশীল মনোভাব দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এসময় তিনি মহৎ এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফ্রিল্যান্সাররা।
দেশে বসে বিদেশে কাজ করে উপার্জিত অর্থ দেশে আনার জনপ্রিয় পদ্ধতি পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিনের। অবশেষে তার সফল বাস্তবায়ন ঘটলো।জুম ও পেপ্যাল মার্জ করেছে। প্রাথমিকভাবে পেপ্যাল দিয়ে ইনবাউন্ড সেবা তথা শুধু টাকা আনা যাবে। সোনালী, রূপালী, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ ৯টি ব্যাংক থেকে এই টাকা উত্তোলন করা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের দাবি পেপ্যালকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে পেপ্যালের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা সম্পন্ন হলো আজ।
বাংলাদেশে পেপ্যালকে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে ২০১১ সাল থেকে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালে এসে এটি বাস্তবায়নের জন্য নানানভাবে চেষ্টা করতে থাকেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সে বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ তা আর চালু হয়নি। এই মুহূর্তে বিশ্বের ১৯৩টি দেশে পেপ্যাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এ সেবার সুবিধা উপভোগ করছেন। ২৬টি মুদ্রায় এ প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন পরিচালনা করে।